ব্রেকিং নিউজ
Home / বিনোদন / পরীমনিকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে চায় পুলিশ

পরীমনিকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে চায় পুলিশ

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আবার পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির করা এই রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার পরীমনিকে আদালতে হাজির করে সিআইডি। আদালত সেদিন পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত রোববার আবার পরীমনির জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আজ বুধবার এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার পর পরীমনির আইনজীবীরা আদালতে শুনানি শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, তাঁকে (পরীমনি) পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে সিআইডি। আদালত আগামীকাল এই আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন।

পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।

৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মামলার বাদী র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগস্ট বাদীসহ র‍্যাব-১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন। তাঁরা বাসায় অবস্থান করছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। পরীমনির বাসা থেকে নারী র‍্যাব সদস্যের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।

মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই।

একই মামলায় র‍্যাব দাবি করেছে, পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।

তবে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেছেন, র‍্যাব তাঁদের বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে যে মামলা করেছে, তা সঠিক নয়।