পরীমণিকে নিয়ে বাসায় ১৮ ঘণ্টা কাটানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ভূমিকায় ‘বিব্রত’ পুরো পুলিশ বাহিনী। তবে তার বিরুদ্ধে ‘আইনগত’ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সালে আলাপকালে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সাকলায়েনকে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে বদলি করা হয়েছে। তবে পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন পরীমণির কোনো মামলা তদারকির সাথে জড়িত ছিলেন না। কাজেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাহিনীর শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা ভঙের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকের প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার আরো জানান, পরীমণির বিষয়ে কোনো ব্যবসায়ীর তালিকা হচ্ছে না বা কাউকে গ্রেফতারের জন্য কাজ করছে না পুলিশ। তিনি বলেন, পরীমণি ইস্যুতে কোনো ব্যবসায়ীর সাথে সম্পর্ক বা প্রতারণা নিয়ে কোনো পক্ষেরই অভিযোগ নেই। তাই কোনো তালিকা করারও সুযোগ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাসায় যাতায়াত ছিল এমন অভিযোগে ও কথিত মডেলদের সাথে ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। ওই চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকায় তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এ পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারা ফোন করে আতঙ্কে থাকার কথাও জানিয়েছেন। এমনকি একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে তার নাম প্রকাশ করার হুমকি দেয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, কারো সাথে সম্পর্ক থাকা তো বেআইনি নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা না হয়। মডেল-অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না, করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক, বিনা কারণে কারো সম্মানহানি ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন এ জন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।