সম্প্রতি চলচ্চিত্র নায়িকা ও মডেলসহ কয়েকজন নারীকে আটকের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদেরকে যেভাবে চিত্রিত করেছেন ও তাদের সম্পর্কে যেসব আপত্তিকর বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তা তাদের পেশাগত এখতিয়ারবহির্ভত ও বেআইনি। করোনা দুর্যোগকালে এমন নারী বিরোধী প্রচারণা এসব গ্রেফতারের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে বলে মনে করে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান সংগঠনের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশে করোনার ভয়াবহ দুর্যোগের সময় গত কয়েকদিন চলচ্চিত্রের নায়িকা, মডেলসহ কয়েকজন নারীকে গ্রেফতার ও গ্রেফতারের ঘটনাকে অনেকটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছে। গ্রেফতারের আয়োজন দেখে মনে হয়েছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর সদস্যরা যেন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করছে।’
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘এসব নারীদের আটকের পর আইন-শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদেরকে যেভাবে চিত্রিত করেছেন ও তাদের সম্পর্কে যেসব আপত্তিকর বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তা তাদের পেশাগত এক্তিয়ারবহির্ভত, বেআইনী, অশোভন ও নারীদের জন্য অপমানজনক।’
‘আদালতে অভিযোগ প্রমাণ হবার আগেই যেভাবে এই নারীদের ক্যামেরা ট্রায়াল হয়ে যাচ্ছে তা একদিকে অভিযোগের নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্তকে প্রভাবিত করছে, আর অন্যদিকে বিচারের আগেই তাদের বিচার হয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। তারা বলেন, ‘এই সমস্ত ঘটনা আইন-শৃংখলা বাহিনীর পেশাগত দায়িত্বকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর দুই শীর্ষনেতা বলেন, ‘সমগ্র ঘটনা গ্রেফতারের উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। নির্দিষ্ট কোনও পরোয়ানা ছাড়া মাদক রাখাসহ যেসমস্ত অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তার আইনগতভিত্তি কতটুকু সেটাও বড় বিবেচনার বিষয়। এসব অভিযোগে নারীদের আটক করতে হলে তো কেবল ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকাসমূহের কয়েক হাজার বাড়িতে অভিযান চালাতে হবে।’