নতুন গ্যাস ক্ষেত্রে ৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস রয়েছে
সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাপেক্স। বাংলাদেশের ২৮তম এই গ্যাস ক্ষেত্রে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড বা বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উত্তোলন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে। সেই হিসাবে ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
জকিগঞ্জ মূল শহরে সরকারি হাসপাতালের কাছে এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানা থেকে শুরু করে ছোট-বড় শিল্প এমনকি গৃহস্থালী পর্যন্ত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল
বর্তমানে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে পাইপলাইনের কাজ চলছে। আনুমানিক ছয়মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস সংযুক্ত হতে পারে।
২০২১ সালের মার্চ মাসে ত্রিমাত্রিক জরিপের মাধ্যমে এই গ্যাস ক্ষেত্রটি শনাক্ত করে বাপেক্স। এরপর সেখানে সেখানের মজুদ নির্ধারণের কাজ চলছিল।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিদ্যুৎ, জ্বালানী এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে তথ্য দিয়েছেন, উত্তোলনযোগ্য প্রাকৃতিক গ্যাসের নিট মজুদের পরিমাণ ১২.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। কিন্তু প্রতিবছর এক টিসিএফ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের যে মজুদ, তা ২০৩০ সাল নাগাদ ফুরিয়ে যেতে পারে।
কিন্তু বাংলাদেশে বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সার কারখানা থেকে শুরু করে ছোট-বড় শিল্প এমনকি গৃহস্থালী পর্যন্ত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ফলে বিকল্প হিসাবে দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি শুরু করা হয়েছে।
সূত্র বিবিসি
London Bangla A Force for the community…
