ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনের বাসায় পরীমনির যাতায়াতের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তর এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বলেছেন, কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও সিআইডির একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান ও গ্রেপ্তার নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ ওঠার পর গোলাম সাকলায়েনকে গতকাল শনিবার ডিবি থেকে সরিয়ে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়। এর আগে ডিবি’র সব ধরনের কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে একাধিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খবর বের হয়, সাকলায়েনের বাসায় পরীমনির যাতায়াত ছিল। ১ আগস্ট সকালে পরীমনি নিজের গাড়ি নিয়ে সাকলায়েনের বাসায় যান এবং গভীর রাতে বেরিয়ে আসেন। গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের দুজনের ওই বাসায় ঢোকা এবং বের হওয়ার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা হিসেবে পরীমনি তাঁকে একবার ফোন করেছিলেন। তাঁর বাসায় পরীমনির যাতায়াত ছিল না এবং তাঁর সঙ্গে কোনো সম্পর্কও নেই।
পরীমনি গত জুনে ঢাকা বোট ক্লাবে তাঁকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় দুজনের বাসা থেকে মদ ও মাদকের ঘটনায় পৃথক যে মামলা হয়, সেটার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন গোলাম সাকলায়েন।
পরীমনিকে গত বুধবার রাতে মদ-মাদকসহ তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই মামলায় তিনি রিমান্ডে আছেন। মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরের আগ পর্যন্ত রিমান্ডে প্রথম দুই দিন পরীমনি ছিলেন ডিবির হেফাজতে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, মামলার তদন্তের সূত্রে তাঁর সঙ্গে গোলাম সাকলায়েনের পরিচয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরতেও যেতেন। এই দুজনের সম্পর্কের বিষয়ে পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন বলে ডিবি কর্মকর্তারা জানান।
London Bangla A Force for the community…
