ব্রেকিং নিউজ
Home / লাইফ স্টাইল / Health / গণটিকায় দেশব্যাপী গণহয়রানি

গণটিকায় দেশব্যাপী গণহয়রানি

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা
গণটিকায় দেশব্যাপী গণহয়রানি
কেন্দ্রপ্রতি দুই থেকে সাড়ে তিনশ টিকা সরবরাহ

 

দেশব্যাপী গণটিকা কেন্দ্রে মানুষ গণহয়রানির শিকার হয়েছেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টিকা দেওয়া হয়। প্রায় সব কেন্দ্রে টিকার চেয়ে গ্রহীতার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এসব স্থানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন এবং টিকা গ্রহণ একই দিন হওয়ায় অপেক্ষা দীর্ঘতর হয়েছে।

প্রথমদিকে যে কোনো কেন্দ্র থেকে টিকা নেওয়ার কথা থাকলেও শনিবার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য বলা হয়। ফলে লাইন ভেঙে নতুন স্থানে ফের দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকতে হয়েছে অনেককে। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে মানুষ গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীর্ঘ সময়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি।

অনেক স্থানে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব ক্ষেত্রে লাইনে দাঁড়ানোর শৃঙ্খলাও মানা হয়নি। লাইনের পাশে দিয়ে কিছু লোক ভেতরে গিয়ে টিকা নিয়েছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা ছাড়াই বাড়ি ফিরেছেন অধিকাংশ মানুষ।

মূলত তারাই এসব অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ও গণহয়ারিন শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে দুর্ভোগের মধ্যেও কিছু মানুষ টিকা পেয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের অপেক্ষা দ্বিতীয় ডোজের। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার শুরু হয়েছে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে গণটিকা কার্যক্রম।

৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনতে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। পরিকল্পনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনার পরও শুরুতেই গণটিকা কার্যক্রম হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। নগর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে টিকা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট’ পরিকল্পনা অনুযায়ী গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। অনেক এলাকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত হয়েছেন, হাসপাতালের বাইরে তারা নিজেদের সুবিধামতো স্থানে কেন্দ্র করেছেন।

এমনকি টিকাদানের ক্ষেত্রে অনেকে তাদের নিজস্ব লোকদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আবার অনেক এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা নিজেরা তালিকা করে সেই অনুযায়ী টিকা দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এসব বিষয়ে না জানায় টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ফিরে এসেছেন। আবার অনেক স্থানে এনজিও সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

এনজিওকর্মীরা তাদের ইচ্ছামতো নিয়ম করে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এতে গণটিকা কার্যক্রম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকিসন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক যুগান্তরকে বলেন, অনেক এনজিও আগে থেকেই ইউপিআই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তাদের টিকাদানে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এনজিও আছে।

প্রথম দিনে কত টিকা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কিত রিপোর্ট এখনো তিনি পাননি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সকাল ৯টায় দেশব্যাপী ১৫ হাজারের বেশি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়। সকাল থেকেই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

বেলা ৩টা পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও বেলা ১১-১২টার মধ্যেই টিকা শেষ হয়ে যায়। এতে বেশিরভাগ মানুষ হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।

ডা. শামসুল হক বলেন, দেশজুড়ে এ কর্মসূচি সিটি করপোরেশন এলাকায় চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া প্রথমদিন বাদ পড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে ৮ ও ৯ আগস্ট। এ ২ দিন টিকা দেওয়া হবে দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায়।

আর ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা কর্মসূচি চলবে। ডা. শামসুল হক বলেন, আজকে আমরা টিকা কর্মসূচি শুরু করলাম। যদি কোনো এলাকায় আজকে শুরু করা না যায়, তাহলে আমরা সেখানে কাল করব। এ কর্মসূচি সারা দেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

সারা দেশে ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে কত মানুষ টিকা পেলেন জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এ তথ্য এখনো তার হাতে এসে পৌঁছায়নি। যেহেতু ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান হয়েছে, তাই তথ্য পেতে অনেক রাত হতে পারে।

আজ শেষ কাল আসেন : সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমির সামনে টিকা পেতে মানুষের লাইন দেখা গেছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ টিকা শেষ কাল আসেন। ২৫ বছরের নিচে হলে ১৪ তারিখের পর আসেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ কেন্দ্রে একদিনে সাড়ে ৩০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়। শনিবার সকালেই নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ সেখানে উপস্থিত হন। রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ে স্থানীয় কিছু তরুণ টিকা বুথের সামনে মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে কার্ড লিখে দেন। সেই কার্ড নিয়ে অন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়।

মিরপুরে ১২টার মধ্যেই টিকা শেষ : গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে শত শত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কেন্দ্রে। মিরপুরের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের ভিড়।

২৫ বয়সের ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোথাও প্রথমদিনে ৬০ বয়সের নিচে কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৩০০ করে টিকা দেওয়ায় মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে সেগুলো শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক সাইফুল বলেন, আজকে বয়স্কদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে।

প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার পর আগামী মাসের ৭ তারিখে তাদের দ্বিতীয় ডোজের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকা নিতে কোনো অগ্রিম নিবন্ধন লাগছে না। তবে যারা অন্য কেন্দ্রে নিবন্ধন করেছেন তারা এখানে টিকা পাবেন না।

১২টার আগেই টিকা শেষ রামপুরায় : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় গণটিকাদানের খবরে সকালে লাইন ধরেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে টিকা পেয়েছেন মাত্র ৩৫০ জন। সকাল ৯টায় শুরু করে দুটি বুথে দুপুর ১২টায় শেষ হয়ে যায়।

এ সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেন্দ্রের সমন্বয়কারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহার জানান, তাদের পঁচিশটি ভায়াল দেওয়া হয়েছিল। একেকটি থেকে ১৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা আগে এসেছেন তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক মানুষ না পেয়ে ফিরে গেছেন।

শনিবার সকালে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের ১১টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়।

একই সঙ্গে ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী সিটি কপোরেশনের আরও ২৩টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে নিজস্ব জনবল দিয়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

টিকাদানে বিভিন্ন এনজিও : দেশব্যাপী কোভিড-১৯ গণটিকাদান ক্যাম্পেইনে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশে কর্মরত স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এনজিও। রাজধানীসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে কোভিড-১৯-এর গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।

ক্যাম্পেইনে নতুন করে আরও এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক যুক্ত হয়েছেন। টিকা গ্রহীতাদের ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে ৩৮৭ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক পর্যায়ক্রমে কাজ করছেন। নতুন করে শুরু হওয়া গণটিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে আরও ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের করোনা টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের মিডওয়াইফদের সহায়তায় শনিবার থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯টি টিকাদান কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা করছে।

এছাড়াও, সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ হাজার ২১৪টি টিকাদান কেন্দ্রে সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটির কর্মীরা। ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক মহামারির শুরু থেকেই করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে ব্র্যাক।

তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের নেওয়া টিকাদান কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করতে কাজ শুরু করেছি আমরা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান প্রক্রিয়া পরিচালনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

রাজবাড়ীতে এক নারীকে দুই ডোজ টিকা : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ইসমত আরা (৩১) নামের এক নারীকে একসঙ্গে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়া বাড়ি দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। টিকাগ্রহীতার স্বামী নাহিদুল হক স্বপন জানান, পাটকিয়া বাড়ি দাখিল মাদ্রাসা টিকা কেন্দ্রে কোনো শৃঙ্খলা নেই।

একসঙ্গে অনেককে বসিয়ে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সকালে তার স্ত্রী টিকা নিতে গেলে স্বাস্থ্যকর্মী তার বাম হাতে টিকা দেন। এরপর তিনি টিকা দেওয়া হাতটি চেপে ধরে বসে থাকা অবস্থায় আরেক স্বাস্থ্যকর্মী এসে ডান হাতে টিকা দেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাফিন জব্বার বলেন, ভুলবশত এক মহিলাকে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ওই নারীর স্বাস্থ্যগত খোঁজ রাখা হচ্ছে। তিনি এখন পর্যন্ত ভালো আছেন।

করোনা মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু ভয়াবহতা হ্রাসে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হয়। তবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা টিকা সময়মতো না পাওয়ায় এতে ভাটা পড়ে। পরে চীন থেকে টিকা কিনে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে সরকার।

পাশাপাশি টিকা সরবরাহের বৈশ্বিক প্ল্যাটফরম কোভ্যাক্স থেকেও আসছে। সরকারের কেনা, উপহার পাওয়া এবং কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে এসেছে দুই কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা। নতুন করে টিকা আসায় বড় পরিসরে ক্যাম্পেইন করে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় আনতেই পরীক্ষামূলক ধাপ হিসাবে এবার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন– ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৭ আগস্ট থেকে ৭ দিনে প্রায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। শেষ মুহূর্তে তা অনেকটা কমিয়ে শুক্রবার প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। এ কর্মসূচিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, নেত্রকোনার পূর্বধলা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও কমলগঞ্জ, টাঙ্গাইলের বাসাইল, গোপালপুর ও কালিহাতী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও ত্রিশাল, দিনাজপুরের বিরামপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, স্বরূপকাঠি, নাজিরপুর ও কাউখালী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, বাগেরহাটের মোংলা, বরগুনার বেতাগীসহ আরও বিভিন্ন স্থানে করোনার গণটিকা দেয়া হয়েছে।
সূত্র যুগান্তর