ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পরীমনির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে গেলেন ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েন

মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পরীমনির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে গেলেন ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েন

 

বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাকলায়েন।

বিপুল মাদকসহ পরীমনিকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমনি। সেখানে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন।

এরই মধ্যে পরীমনি-সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে। ফুটেজটি সাকলায়েনের সরকারি বাসভবনের।

সেখানে দেখা গেছে, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পরিহিত একজন প্রথমে নামেন। এরপর কোলে একটি কুকুরসহ সাদা রংয়ের জামা পরে নামেন নায়িকা পরীমনি।

রিসিপশনে থাকা সদস্যদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে দুজন লিফটে প্রবেশ করেন। পরে গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ট্রলি ব্যাগ। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত দেড়টার দিকে ওই ভবনের সামনে আবার আসে পরীমনির গাড়ি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমনির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক।

জানা গেছে, বোট ক্লাব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে পরিচয় ডিবি কর্মকর্তা সাকলায়েনের। সেই সূত্র ধরে গড়ে উঠেছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এরপর পরীমনির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন তিনি। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে বের হতেন দুজনে। সর্বশেষ নায়িকা সাকলায়েনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় কাটান।

পরীমনির গাড়িচালক নাজির হোসেন জানান, হাতিরঝিল এলাকায় একই গাড়িতে তারা দুজন সময় কাটিয়েছেন, ঘোরাঘুরি করেছেন। একসঙ্গে মদপানও করেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শুক্রবার রাত ১১ টায় এডিসি গোলাম সাকলায়েন সরাসরি পরীমনির সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেননি।

তিনি বলেন, পরীমনির দায়েকৃত মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এখন এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।

ফলে পরী কেন- অন্য যে কারও সঙ্গে চলাফেরার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচারে লিপ্ত হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।

আরেকটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, পরীমনির সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তবে তা প্রেমের সম্পর্ক নয়। তবে পরীমনি তার বাসায় যাওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন। পরে তার বাসায় যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে জানালে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি।