বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৯ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে আজ আর গণতন্ত্র নেই। জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
৫ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ সংসদ গঠন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই সংসদের নেতা, উপনেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার কেউ-ই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সুতরাং এই সরকার ও সংসদ অবৈধ। আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এক মাসে সারা দেশে ৩০২ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা তথ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এই এক মাসে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের চার নেতা খুন, দিনাজপুরে ৫ জন নিহত, নীলফামারিতে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদেলর ৬ জন নিহত ও ৯ জন গুম হয়েছেন। যারা গুম হয়েছেন তারা সকলেই বিএনপি ও স্বেচ্ছাস্বেক দলের স্থানীয় নেতা।
বেগম জিয়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে যে প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছিলো মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মাত্র ৫ শতাংশ ভোটও সেদিন পড়েনি। তিনি বলেন, সরকার চু লজ্জা স¤পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে বিরোধী দলকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আওয়ামীলীগ একদিকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের বিরোধীদলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সারা দেশ আতংকিত জনপদে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে আগেই আসন ভাগাভাগি হয়েছে। আমাদেরকেও আসন দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তারা গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী। ১৯৭৫ সালেও তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, লে.জে.(অব) মাহবুবুর রহমান, ব্রি.জে. (অব) আ স ম হান্নান শাহ, বেগম সারওয়ারী রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড.আবদুল মঈন খান।
এছাড়া ১৯ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতে ইসলামির কর্ম পরিষদের সদস্য মশিউল আলম, ইসলাম ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ইসলামীক পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মোবিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মো.ইসহাক, বাংলাদেশ পিপলস লীগের সভাপিত গরীবে নেওয়াজ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি শওকত হোসেন নীলু, বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ ভাসানীর সভাপিত শেখ আনোয়ারুল হক, ডেমোক্রেটিক লীগের চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নুরুল হক মজুমদার, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।