অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত ব্যক্তি সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার সঙ্গে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনের পর রাতেই ফেসবুকের লাইভে এসে সেফুদা বলেছেন, গ্রেফতারের পর দেখলাম হেলেনা জাহাঙ্গীরের চেহারায় কোন অনুতাপ নেই।
আমি নাকি তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিই। সে নাকি আমাকে টাকা-পয়সা দেয়। র্যাবের একটি সংবাদ সম্মেলনে এমন দবি করা হয়েছে। এটি শতভাগ মিথ্যা ও প্রপোগণ্ডা।
“হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে নাকি আমার লেনদেন আছে? তার সঙ্গে আমার টাকা-পয়সার লেনদেন নেই, সর্ম্পকের লেনদেন নেই। আছে হৃদয়ের লেনদেন। এটি হৃদয়ঘটিত লেনদেন।”
সেফুদা আরও বলেন, আমি অনলাইনে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনি। চিনি মানে… আমাকে সে আবিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের চেহারায় কোন অনুতাপ দেখিনি। কেন অনুতাপ থাকবে? সেতো কঠোর পরিশ্রমী একজন শিল্প উদ্যোক্তা। নিজের পরিশ্রমের ফসলে আজ সে একজন বাংলাদেশের সিআইপি।
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,
হেলেনা জাহাঙ্গীর অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদাকে নাতি ডাকতেন। সেফুদার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার সঙ্গে লেনদেনও ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের।
তিনি বলেন, সেফুদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে গ্রেফতারকৃতের নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাসায় দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করে র্যাব।
এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, চাকু, বৈদেশিক মুদ্রা, ক্যাসিনো সরঞ্জাম ও হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।