আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক উপকমিটি থেকে বাদপড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনা জাহাঙ্গীরকে র্যাবের সদর দপ্তরে নেওয়া হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের একটি টিম হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় যান। প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান পরিচালনার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।
অভিযানের বিষয়টি র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কেএম আজাদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাত ৯টায় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, র্যাব-২ এর একটি দল গুলশান ২ এর ৩৬ নম্বর সড়কে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে বারবার দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নারী বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ থেকে গত রোববার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উপকমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ সই করেন।
এতে বলা হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতিবহির্ভূত হওয়ায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ হতে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে।
সেই কারণেই তাকে উপকমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা দুই-তিন বছর ধরেই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।