ব্রেকিং নিউজ
Home / রাজনীতি / সিটি মেয়র আইভির বাসায় শামীম ওসমান

সিটি মেয়র আইভির বাসায় শামীম ওসমান

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মা মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।
এ সময় তিনি আইভীকে সান্ত্বনা দিয়ে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান।

গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে দেওভোগে চুনকা কুটিরে যান শামীম ওসমান। এরআগে বিকাল ৪টায় নগরীর মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মেয়র আইভীর মাতা মমতাজ বেগমের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন তিনি।

আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করেই সেখানে আইভীর দুই ভাই ও বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রয়াত চেয়ারম্যান নগর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকার দুই ছেলে আহমেদ আলী রেজা উজ্জ্বল ও আলী রেজা রিপনকে সান্ত্বনা দেন।

আইভীর পাশে বসে শামীম ওসমান বলেন, চাচি খুব ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহওয়ালা ছিলেন। আমাদের এখন তার জন্য দোয়া করতে হবে আর এমনভাবে চলতে হবে যেন তাদের আত্মা শান্তি পায়। আমিও এতিম। আমি বুঝি এতিম হওয়াটা কত কষ্টের সেটা যেই বয়সেই হই না কেন।

এ সময় আইভী বলেন, আগামী শনিবার বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ আমাদের মসজিদে আপনারা আসবেন। পরে শামীম ওসমান তার সঙ্গে সেখানে যাওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জানান, শনিবার চাচির মিলাদ আপনারা মাস্ক পরে নিয়ম মেনে আসবেন।

এরআগে কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের শামীম ওসমান বলেন, মৃত মানুষের কোনো পরিচয় নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার এখানে আরও আগে আসা উচিত ছিল।

কিন্তু আপনারা জানেন আমার স্ত্রী খুব গুরুতর অসুস্থ। আজকে আপনাদের সকলের দোয়ায় একটু ভালো অবস্থায় আছেন। আমি প্রথমেই তার জন্য দোয়া চাচ্ছি।

শামীম ওসমান বলেন, আলী আহমদ চাচার সহধর্মিণীর কথা আমার মনে পড়ছে। আমি যখন ৯৬ সালে প্রথম এমপি হই জমির আহমেদ জমু ভাই আমাকে নিয়ে গেলেন এবং আমাকে বললেন তাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি আলী আহমদ চাচার নামে নামকরণ করো। আমি বললাম এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটার নামকরণ করি। তখন আমি আলী আহমদ চাচার বাসায় যাই। তার সহধর্মিণীও আমার মায়ের মতো। তিনি একজন মা সন্তানকে যেভাবে ভালোবাসে, সেভাবেই ভালোবাসা দিয়েছিলেন। তিনি আল্লাহওয়ালা মানুষ ছিলেন। আমাদের তার জন্য কিছু করার নেই। তবে আমি নিজের মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি ঠিক সেভাবে ওনার জন্য এবং এখানে যারা শুয়ে আছেন সকলের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।

তিনি বলেন, আলী আহমদ চাচার ৫ জন ছেলেমেয়ে আছেন। এতিম হওয়া যে কত কষ্টের সেটা যে হারায় সে বুঝে, তা যেই বয়সেই হোক। বাবা-মা যখন চলে যায় তখনই বোঝা যায়। আমি নিজেও একজন এতিম। এতিমের যে কষ্ট এই কষ্ট আল্লাহ যেন তাদের সহ্য করার তৌফিক দান করেন। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। তারা যেন ওই পথে চলেন যে পথে চললে তাদের বাবা-মা যেন শান্তি পান। আমরা সবাই যেন এইভাবে এবাদত করতে পারি যেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা শান্তি পায়।

তিনি আরও বলেন, আমি গত তিনদিন প্রচণ্ড বাজে অবস্থায় ছিলাম। আমার স্ত্রী এখনো শয্যাশায়ী। আল্লাহর রহমতে মানুষের দোয়ায় আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন। যিনি চলে গেছেন তিনি আমার মায়ের মতো ছিলেন। আমরা তার সন্তান। তার বাড়িতে গিয়ে সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দনশীল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু প্রমুখ।