ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / লকডাউনে জরিমানা পরিশোধ না করে উল্টো পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটালেন ধনাঢ্য বাবার পুত্র

লকডাউনে জরিমানা পরিশোধ না করে উল্টো পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটালেন ধনাঢ্য বাবার পুত্র

 

করোনা প্রতিরোধে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়ায় দেওয়া হয় অর্থদণ্ড। কিন্তু জরিমানার টাকা পরিশোধ না করেই তিনি গাড়ি নিয়ে সটকে পড়েন। ধাওয়া করে এক পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে থামান। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করেন। পিটিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সৈয়দপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের বড় ছেলে আতিফ আলতাফ (২৮) এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তার নাম আতাউর রহমান। তিনি সৈয়দপুর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরের সেনানিবাস এলাকার সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আতিফ আলতাফ। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করেন। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ঘটনাস্থলেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম তাঁকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে চলে যান আতিফ।

আরেকটি গাড়ি নিয়ে এক কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের নেসকো অফিসের কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ। ওই পরিদর্শককে পিটিয়ে পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়।

সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমানের সঙ্গে ঘটনাস্থলে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ সময় তাঁর পোশাক ছেঁড়া দেখতে পাওয়া যায়।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত অমান্য, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ও লকডাউন ভাঙার মতো একাধিক অপরাধ সংঘটিত করেছেন আতিফ। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এর আগে ছেলের বউভাতে কলেজের মাঠ রাজকীয় সাজে সাজিয়ে কোটি টাকা খরচ করে আলোচনায় এসেছিলেন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।