নেত্রকোণার কেন্দুয়ার শৌখিন এবং মৌসুমী গরু পালনকারী ব্যবসায়ীরা সারা বছর গরু লালন-পালন করেন কিছুটা লাভবান হওয়ার আশায়। গরুর এমন অনেক মালিক আছেন যারা প্রতিদিনের গোখাদ্য ক্রয় করার সামর্থ থাকে না। তারপরও ধার-দেনা করে গরু পালন করছেন অনেকে। কিন্তু প্রত্যাশিত মূল্য পাবেন কি না এবার এই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
তেমনই গরুর মালিক ওয়াশেরপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম ও তরিকুল ইসলাম। তারা ব্রাহমা প্রজাতির দুই ষাঁড়ের মালিক। আব্দুস ছালাম জানান, তার গরুটির নাম নিরব। ৬ বছর বয়সের গরুটির ওজন প্রায় ২০ মণ। গরুটিকে তিনি প্রতিদিন খড়, ভুসি, কুড়া এবং কাঁচা ঘাস খাওয়ান। এতে দৈনিক ৪০০ টাকার মতো খরচ হয়। গত কোরবানি ঈদে ৩ লাখ টাকা দাম হয়েছিল। এবার তিনি ৬ লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। করোনার কারণে ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা সে আশঙ্কা করছেন।
একই গ্রামের তরিকুল ইসলামের ব্রাহমা প্রজাতির সুলতান নামে ষাঁড় গরুটির ওজন ২৫ মন বলে জানান। তরিকুল বলেন, ‘সুলতানের বয়স প্রায় ৪ বছর। সুলতানের মতোই তার হাব-ভাব। দৈনিক ৪শ টাকার খাবার খাওয়াই। গত রোজা ঈদে ৩ লাখ টাকা দাম হয়েছিল। ৫ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছি। সুলতানকে সার্বক্ষনিক দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী লিজা আক্তার এবং তার ছেলে।’
তিনি জানান, করোনার কারণে হাট না বসলে লোকসানের সম্ভাবনা বেশি। তাই অনলাইনে বিক্রির প্রত্যাশা করছেন তিনি।
এদিকে কান্দিউড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়া জানান, তার ব্রাহমা জাতের গরুটির নাম কালাচান। এটির ওজন ১০-১২ মণ হবে। কোরবানির ঈদে এখনও হাট বসার লক্ষণ দেখছি না। তাই অনলাইনে বিক্রি করতে চাই। ২ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেব।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খোরশিদ দেলোয়ার জানান, কেন্দুয়া উপজেলা ছাগল, ভেড়াসহ ১৩ হাজার ৩৩৪টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত। ১ হাজার খামারি তাদের গরু মোটা-তাজা করণ করে উপযুক্ত করেছেন। ঈদ প্রায় এগিয়ে এলেও এখনও বেঁচা-বিক্রি শুরু হয়নি।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনউদ্দিন খন্দকার জানান, উপজেলায় ইজারাকৃত ২৫টি হাট-বাজার রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে হাটগুলো বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই এর পর পশু হাটের অনুমতি দিতে পারে সরকার।
London Bangla A Force for the community…
