চলছে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। বৃহস্পতিবার মৃত্যু সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছেই। ঢাকার বাইরের প্রান্তিক এলাকা বিশেষত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মৃত্যু বাড়ছেই। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট আর আইসিইউ না থাকায় তীব্র ভোগান্তিতে আক্রান্ত হাজারও মানুষ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ কমাতে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নজরদারি জোড়দার করতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদক রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল, বাংলামটর, ফার্মগেট ঘুরে সরজমিন ঢাকা কার্যত ফাঁকা চোখে পড়েছে। অল্পকিছু রিকশা চলতে দেখা গেছে।
বিক্ষিপ্তভাবে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেছে।
তিন কারণে রাজধানী গতকালের চেয়ে আজ আরও ফাঁকা। প্রথমত আজ শুক্রবার ছুটির দিন, অন্যদিকে মধ্যরাত থেকেই থেকে থেকে বৃষ্টি এর ওপর চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।
ঢাকার প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত ইত্তেফাক মোড়ে দেখা গেছে সেনা টহল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে তারা পথচারীদের থামিয়ে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন। গলির ভেতর থেকেই রিকশা চালকরা সেনা টহল দেখে সরে যাচ্ছেন। পুরো মতিঝিলে যেখানে ব্যস্ত থাকে সেখানে কোন রিকশা বা গাড়ি চোখে পড়েনি। কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বৃষ্টির কারণে মূল রাস্তা থেকে সরে গেছে। এ এলাকায় মিডিয়ার বেশ কটি গাড়ি দায়িত্ব পালনে ছুটতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হওয়ায় ঢাকায় ৪৯৭ জনকে আটক করা হয়। ২৫৮ জনকে গ্রেপ্তার ও আট জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এর বাইরে র্যাব ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সারা দেশে ১৮২ জনকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
London Bangla A Force for the community…
