সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে সমস্যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেছেন, দুই নেত্রী একত্রে বসলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে। বুধবার বিকালে খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এসব বক্তব্য উঠে এসেছে।
সন্ধ্যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে সমস্যার সমাধানের কোন কথা নেই তার বক্তব্যে। তত্ত্বাবাধায়ক সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় রয়েছে। সেই রায়ের আলোকে কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা যায় সেই বিষয়ে একটা দিকনির্দেশনা থাকা উচিৎ ছিল তার বক্তেব্যে। শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয় গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য নির্বাচন নিয়ে স্থায়ী একটি কাঠামো দরকার। আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করা উচিৎ। বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তেব্য অনেক ফাকফোকর রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তার কাছ থেকে একটা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য থাকতে হবে।
এদিকে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হকও একই ধরণের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সমস্যা সমাধানের জন্য দুই নেত্রীকে একত্রে বসতে হবে। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে জনগণের কাছে দশম নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনতো হয়ে গেছে, মন্ত্রিপরিষদও গঠিত হয়েছে। মন্ত্রীরা দেশ পরিচালনা করছেন। এখন নির্বাচন করতে হলে দশম জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে একাদশ জাতায় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। তাই দুই নেত্রীকে একত্রে বসে আলোচনা করে সমস্যার একটি সমাধান বের করতে হবে। ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেন, আমাদের সুশীল সমজের একটা ভূমিকাও রয়েছে। তাদের উচিৎ হবে দুই নেত্রীকে একত্রে বসানোর জন্য উদ্যোগী হওয়া।
গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন খালেদা জিয়া। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ত্রুটি ও অগ্রহণযোগ্যতা ও গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ করেছেন। গণতন্ত্র রক্ষায় আগামী নির্বাচনের জন্য সংলাপের আহবন জানিয়েছেন তার সংবাদ সম্মেলনে।