সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরবারে গত ২০ জুন অভিযোগ করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক।
সেই অভিযোগের শুনানি ছিলো মঙ্গলবার (২২ জুন)। তবে ‘অভিযুক্ত’ হাবিবুর রহমান হাবিব নিজের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় বুধবার (২৩ জুন) ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।
বিষয়টি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন নির্বাচনে কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহিম (আইন-২)।
তিনি জানান, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ করেন। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুই প্রার্থীসহ দুপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে একটি পক্ষ প্রয়োজনীয় প্রমাণাদির কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় আগামীকাল (বুধবার) ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। কাল এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।
বুধবারের শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান মো. আবু ইব্রাহিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২০ জুন) দুপুরের পরে আতিকের আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্য ঢাকাস্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে তার সাংসদ প্রার্থী হওয়া বৈধ নয়- এ বিষয়টি তুলে ধরে অভিযোগ করেন জাপা নেতা আতিক।
নির্বাচন কমিশন অভিযোগের শুনানির দিন ধার্য করে মঙ্গলবার। আজকের শুনানিতে হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেন আতিক। কিন্তু এর বিপরীতে হাবিব নিজেকে দুই দেশের নাগরিক নন- সেটি প্রমাণ করতে পারেননি। বরং তিনি ইলেকশন কমিশনে স্বীকার করেছেন বর্তমানেও তিনি দুই দেশের (বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য) নাগরিক।
সূত্র জানায়, হাবিব তার দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্য দূতাবাসে ‘সারেন্ডার’ করেছেন- মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে এমনটি দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১১টা পর্যন্ত হাবিবকে সময় দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। বুধবার তাকে সকল কাগজপত্র কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে ২০ জুন আপিলের পর জাপার প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক জানান, আমি নিজে যাইনি। রবিবার দুপুরের পরে আমার আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সকল কাগজপত্র দাখিল করেছেন।
আতিকের আইনজীবী প্যানেলের এক সদস্য বলেন, ‘হাবিবের প্রার্থীতা কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী- যদি কারো দ্বৈত নাগরিত্ব থাকে এবং এ দেশে তিনি সাংসদ প্রার্থী হতে চান তবে ৬ মাস আগে সে দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসে সেই নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করে সারেন্ডার করতে হবে। তখন দূতাবাস থেকে একটি কাগজ দেয়া হবে। সেই ডকুমেন্ট প্রার্থী নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিবেন।
কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিব সারেন্ডারের বিষয় তো দূরে- তাঁর দ্বৈত নাগরিত্বের বিষয়টিই হলফনামার কোথাও উল্লেখ করেননি।
London Bangla A Force for the community…
