মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন দুই ডজন সিনিয়র মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা এবার নতুন মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়লেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদদীন খান আলমগীর, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ব্রি. জে. (অব) মোহাম্মদ এনামুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, মৎস্য ও পশুসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রী মোস্তফা মোহাম্মদ ফারুক এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) মুজিবুর রহমান ফকির, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী।
বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ২৯০টি আসনের মধ্যে ২৩১টি আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। ৩৩টি আসনে জয়ী হয়ে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসছে জাতীয় পার্টি।
৫৩১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় আটটি আসনে ফল প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে। আর নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে যশোর-১ ও যশোর-২ আসনের ফল গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি।