চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ-শিবিরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শাহ আমানত হলের সেক্রেটারি মামুনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রক্টর বলেন, “কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।”
নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
দুপুর থেকে শিবিরনিয়ন্ত্রিত শাহ আমানত হলের সামনে ছাত্রলীগকর্মীরা লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের বাইরে অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পাশের পাহাড় দিয়ে তারা হলের ভেতর ঢুকলে সংঘর্ষ শুরু হয়। হলের ভেতর চলা সংঘর্ষে গুলি ও হাত বোমার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পুলিশ হলের বাইরে অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার রাতে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদের রগ কর্তনের ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটে। সিলেটের স্থানীয় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এই ঘটনা ঘটায়।
এই ঘটনার খবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের দিকে যায় এবং সেখানে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।পরে শাহ আমানত হলের ভেতর থেকেও শিবিরকর্মীরা ছাত্রলীগকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
London Bangla A Force for the community…
