দুই বন্ধুর সঙ্গে আম পাড়তে বের হয়েছিল আট বছর বয়সি আসাদুল। পাড়ার মধ্যে একটি বাড়িতে আমগাছ দেখে তারা সেখানে ঢুকে পড়ে।
এদিকে বাড়ির মালিক মোক্তারুল ইসলাম বিষয়টি টের পেয়ে যান। তেড়ে আসেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়ে যায় আসাদুলের দুই বন্ধু সিদ্দিকুল্লাহ রহমান ও দিলশাদ হোসেন। কিন্তু আসাদুল ধরা পড়ে যায় মোক্তারুল ইসলামের হাতে। এর পর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মালিক মোক্তারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার নৃশংস এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এ ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকায়। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে বংশীহারি থানার পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তদন্তও শুরু করে দিয়েছে তারা।
পুলিশ জানায়, মৃত শিশুর আসাদুল রহমানের (৮) বাড়ি বুনিয়াদপুর এলাকার বেলকুড়িয়ায়। ওই শিশু আম পাড়ার জন্য তার দুই বন্ধুর সঙ্গে বের হয়। সেই সময় পাড়ারই একটি বাড়িতে আমগাছ দেখে সেখানে ঢুকে পড়ে তারা। কিন্তু সেই সময় ওই বাড়ির মালিক মোক্তারুল ইসলাম তাদের দেখে ফেলে। মোক্তারুলকে তেড়ে আসতে দেখে আসাদুলের দুই বন্ধু সিদ্দিকুল্লাহ রহমান ও দিলশাদ হোসেন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধরা পড়ে যায় আসাদুল।
অভিযোগ, এর পর আসাদুলকে বেধড়ক পেটায় মোক্তারুল। শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে মোক্তারুলের হাত থেকে উদ্ধার করে বুনিয়াদপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক আসাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।