বৃটেনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিসা স্ট্যাটাস ও দেশটিতে থেকে তার রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই নিয়ে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যে যার মতো মন্তব্য করছেন। কিন্তু প্রকৃত অবস্থাটি কী-সে বিষয়ে কেউ স্পষ্ট কিছু বলছেন না। অথবা বিষয়টি তাদের জানা নেই।
প্রায় পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃটেনে বসবাস করছেন।এক এগারো পরবর্তী সময়ে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে তিনি লণ্ডনে আসেন চিকিৎসার জন্য। বিভিন্ন সময়ে সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলে আসছেন, তারেক রহমান ২০০৮ সনে যখন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে লণ্ডনে এসেছিলেন তখন তিনি কি এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছিলেন, তিনি চিকিৎসাকালীন সময়ে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লণ্ডনে তার রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি আবারো আলোচিত হয়ে উঠেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি লণ্ডনে বসে কেন এবং কিভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন?
সম্প্রতি নির্বাচন উত্তর ও নির্বাচনপূর্ব ভিডিও বার্তা , সংবাদ সম্মেলন ও বাংলা লিকসের ফাঁসকৃত টেলিফোন সংলাপের কারণে তারেক রহমানের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর কখনোই গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেনি তাই এই বিষয়ে কিছুটা খোঁজ খবর করে নিজের জিজ্ঞাসা মেটাবার চেষ্টা করেছি, এতে করে মনো হয়েছে এবিষটি নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে, এই খেলায় সাধারণ জনগণ হচ্ছে বিভ্রান্ত।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুয়ায়ী, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখনো ১৭টি মামলা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, নাইকো দূর্নীতি মামলা ও চাঁদাবাজির মামলাগুলো বহুল আলোচিত । সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় অবশ্য তিনি বেকসুর খালাসও পেয়েছেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারি একাত্তর টেলিভিশনে এক আলোচনায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম বলেছেন,” তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলা সচল রয়েছে যেগুলোতে তার জামিন বাতিল করা হয়েছে, আইনের দৃষ্টিতে এখন তিনি পলাতক আসামি।”
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, পলাতক আসামি আবার ভিডিও বার্তা দেন কিভাবে? সেই ভিডিও আবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারই বা করছে কেন? পলাতক আসামি কি রাজনীতি করতে পারেন? বাংলাদেশের আইনে তারেক রহমান পলাতক আসামি, কিন্তু বৃটেনের আইন কী বলছে?
বৃটিশ আইন নিয়ে কথা বলার আগে যে প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন, তারেক রহমান কি বৃটেন আসার পর তার ভিসা পরিবর্তন করেছেন? তিনি যে চিকিৎসা ভিজিটর ভিসায় লণ্ডনে এসেছিলেন বর্তমানে তিনি কি একই ভিসায় আছেন নাকি সেই স্ট্যাটাস পরিবর্তন করেছেন? কারণ বাংলাদেশ ছেড়ে আসার পর অতিক্রান্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ বছরের বেশি সময়। এই সময়ে তিনি কোন ধরণের ভিসায় রয়েছেন সেটি আগে সরকারকে জানতে হবে। অথবা তারেক রহমান অথবা বিএনপির দায়িত্বশীল কাউকে এটি পরিষ্কার করতে হবে।
এখন তাহলে মৌলিক প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, তারেক রহমানের ভিসা স্ট্যাটাস কি ? কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তারেক রহমান লণ্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান কিংবা তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে কখনোই তারেক রহমানের লণ্ডনের ভিসা স্ট্যাটাস প্রকাশ করা হয়নি। আর ব্যক্তিগত প্রাইভেসি লঙ্ঘন হবে যদি সেটি তার অনুমতি ব্যতিত প্রকাশ করা হয়। এই কারণে তার স্ট্যাটাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাচ্ছে না। তাহলে প্রশ্নটি তুলবে কে ?
প্রশ্নটি তুলতে পারে রাষ্ট্র। কারণ তিনি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো মুচলেকা দিয়ে লণ্ডনে এসেছিলেন কি না। আর যদি মুচলেকা দিয়ে আসেন তাহলে সেটি যদি কোনো কারণে ভঙ্গ হয়ে থাকে তাহলে সেই প্রশ্ন বৃটেনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ – ‘ইউকে বর্ডার এজেন্সি’র কাছে করা যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কি কখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউকে বর্ডার এজেন্সির কাছে জানতে চেয়েছে তারেক রহমানের ভিসা স্ট্যাটাস কি ? এখানেও রয়ে গেছে অস্পষ্টতা। তারেক রহমান যদি বৃটিশ সরকারকে বলে থাকেন তিনি বাংলাদেশে ফিরে গেলে নির্যাতিত হতে পারেন, ন্যায়বিচার পাবেন না অথবা তার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তাহলে আবার যুক্তরাজ্য তারেক রহমানের এই আবেদন মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করে তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকতে পারে। এই গ্রাউণ্ডে যদি যুক্তরাজ্য সরকার তারেক রহমানকে আশ্রয় দিয়েও থাকে তাহলে বাংলাদেশ সরকারের তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার চাইলেই ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে পারবে না। কারণ বন্দী প্রত্যার্পণ চুক্তি ১৯৫৪’ দ্বারা আশ্রিত ব্যক্তি প্রোটেকটেড থাকবেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারেক রহমান একজন অপরাধী, দেশে থাকা অবস্থায় তার করা গুরুতর অপরাধগুলো বিচারাধীন, তাই তাকে বাংলাদেশ সরকার বৃটেন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিচার করতে চায়।
তবে বাংলাদেশ তারেক রহমানের বিচার করলেও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে না এই মর্মে স্বাক্ষর করলেই বৃটেন আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে। কারণ বৃটেন মৃত্যুদণ্ডকে সমর্থন করে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে সরকার কোন অবস্থানে রয়েছে ? যেহেতু বছর খানেক ধরে তারেক রহমানের লণ্ডনে বেশ কয়েকটি সভা সমাবেশ ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারিত ভিডিও বার্তার পর তার মামলাগুলো পুনরায় সচল হওয়া ও তাকে লণ্ডন থেকে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার কথা নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে। তাহলে কি আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলছে নাকি তারেক রহমান যখন রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন তখন রাজনীতির মাঠের উত্তাপে আইন প্রভাবিত হচ্ছে? সরকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ি নিতে আদৌ কি কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে?
সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যেতে পারে। নবম জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেছিলেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আসলে কার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল? সেটি অবশ্যই হোম অফিস অর্থাৎ ইউকে বর্ডার এজেন্সিই হবার কথা। এই যোগাযোগের মাধ্যম কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি বাংলাদেশ হাইকমিশন লণ্ডন ?
একাধিকবার লণ্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করেও সরকারের কোনো চিঠির সন্ধান পাওয়া যায়নি।। তাহলে কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি ইউকে বর্ডার এজেন্সি’ বা বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনণালয়ের কাছে চিঠির মাধ্যমে তারেক রহমানকে প্রত্যার্পণ করার অনুরোধ জানিয়েছে? ( ইউকে বর্ডার এজেন্সি বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনণালয়ের অধীনে কাজ করে) উত্তর হলো- না।
ইউকে বর্ডার এজেন্সির কমিউনিকেশন ডাইরেক্টরিয়েটের প্রেস কর্মকতা টম লরেন্স ইমেইলে নিশ্চিত করেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আগে তারা বলবেন না, তারেক রহমানকে বাংলাদেশ সরকার আদৌ প্রত্যার্পণের কোনো অনুরোধ জানিয়েছিল কি না। এই তথ্য না জানানোর বিষয়টি যুক্তরজ্যের ‘লং স্ট্যান্ডিং পলিসি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ এর কারণে তারা জানাতে বাধ্য না।
টম লরেন্সের সঙ্গে ইমেইল যোগাযোগের পর প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে । যেহেতু তারেক রহমানকে এখনো পর্যন্ত বৃটিশ সরকার গ্রেফতার করেনি তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে তারেক রহমানকে প্রত্যার্পণ করতে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেনি অথবা বাংলাদেশ সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। যদি আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতো তাহলে তারেক রহমানের প্রত্যার্পণ বিষয়ক আইনি লড়াই এতো দিনে শুরু হয়ে যেতো। যদি তিনি সেই আইনি বিষয়গুলোর মধ্যে থাকতেন তাহলে কোনোভাবেই তিনি বিলেতে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারতেন না। তবে তিনি সব সময় তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেতেন। কিন্তু তিনি যদি বিলেতে বসে এমন কোনো বক্তব্য দেন যার ফলে বাংলাদেশ, বৃটেন অথবা অন্য কোনো দেশে সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে তাহলেও তিনি অভিযুক্ত হতে পারেন। তবে সেই অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের ( বৃটিশ পুলিশ) কাছে করতে হবে।
অভিযোগ না করে টক শোতে আলোচনা কিংবা সংবাদপত্রের কলামের ভিত্তিতে বৃটিশ সরকার কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবে না। এখানে বাংলাদেশ হাইকমিশন লণ্ডনেরও করার তেমন কোনো এখতিয়ার নেই। কারণ, তারেক রহমান যদি বৃটিশ সরকারের আশ্রয়ে থেকে থাকেন সেক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লণ্ডনস্থ হাই কমিশনের কিছুই করার সুযোগ নেই। তবে শুধুমাত্র তারেক রহমানের বৃটেনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব বিরোধী হয় অথবা সহিংসতা উসকে দিতে উৎসাহ যোগায় সেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা সরকারকে উদ্যোগী হয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিলেই কেবল সেটি বৃটিশ পুলিশ খতিয়ে দেখেবে।
ফিরে আসি আগের প্রশ্নে, তারেক রহমান কি পলাতক ? সরকারের কাছে মুচলেকার সময়সীমার মধ্যে তিনি যদি তার ভিসার স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ফেলেন অথবা তিনি যদি বৃটেনে আশ্রয় পেয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের আইনে তারেক রহমান পলাতক হলেও যুক্তরাজ্যের আইন তারেক রহমানকে সুরক্ষা করবে। বাংলাদেশ সরকারকে এই পলাতক আসামিকে ফিরিয়ে নিতে হলে বৃটেনে আইনজীবী নিয়োগ করে দেশটির আদালতে তারেক রহমানকে অপরাধী প্রমাণ করে তাকে ‘বন্দী প্রত্যার্পণ আইন ১৯৫৪’ এর মাধ্যমে চুক্তি করেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এবার আসি ভিডিও বার্তা প্রকাশের বৈধতা প্রসঙ্গে। তারেক রহমান যদি বৃটেনের আশ্রয়ে থেকে থাকেন তাহলে তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও রয়েছে, হোক সেটি সরাসরি কিংবা যেকোনো প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। সেই অর্থে বাংলাদেশে এমন বিচারাধীন মামলার অভিযুক্ত আসামির কোনো বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যেমর ওপর যেহেতু কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই অথবা ব্রডকাস্ট ‘ল’ নেই তাই বাংলাদেশে এই বক্তব্য প্রচারেও কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু বৃটেনের আদালতে যদি তারেক রহমানের ওপর কোনো মামলা থাকতো অথবা তার বন্দী প্রত্যার্পণ শুনানি চলতো তাহলে, আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে তিনি এ ধরণের কাজ করতে পারতেন না।
এবার শেষ প্রশ্নে আসি, তারেক রহমানকে কি দেশে ফিরিয়ে নেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়? উত্তর হলো, সম্ভব। তিনটি প্রক্রিয়ায় তারেক রহমানকে দেশে ফেরানো সম্ভব। প্রথমত, যদি কখনো তারেক রহমান বৃটেনের বাইরে যান তাহলে যেকোনো দেশ থেকেই ইন্টারপোল তাকে গ্রেফতার করতে পারবে যদি তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টটি অ্যাকটিভেটেড থাকে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ সরকার যদি বৃটিশ সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য এবং সেটি অবশ্যই হতে হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
সবশেষে, তারেক রহমান যদি নিজে ইচ্ছে প্রকাশ করেন, তিনি দেশে ফিরবেন। তবে স্বেচ্ছায় তারেক রহমান দেশে ফিরে গেলে বৃটেনে তার আশ্রয় সুবিধা বাতিল হবে। সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমান যেহেতু নিজে বলেছেন তার চিকিৎসা শেষ হয়নি, তাহলে ধরে নেয়া যায়, খুব শিগগিরই তিনি দেশে ফিরছেন না। যদি সরকার বৃটেনের বন্দী প্রত্যার্পণ আইন মেনে তারেক রহমানকে দেশে ফেরত নিতে চায় তাহলে সরকারকে দীর্ঘ এবং জটিল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। ইতিপূর্বে বৃটেন আবু কাতাদাকে একই আইনি প্রক্রিয়ায় জর্ডানে ফেরত পাঠিয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় সময় লেগেছিলে ১০ বছর। আর খরচ হয়েছে প্রায় তিন মিলিয়ন পাউণ্ড।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সরকার এতো র্দীর্ঘ জটিল আইনি প্রক্রিয়ার যেতে কতটুকু প্রস্তুত ? আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, তারেক রহমান ২০১৩ সালে বৃটেনে থাকা অবস্থায় ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাহলে আমরা এটিও বলতে পারি, সৌদি আরব সফরকালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ওয়ারেন্টটি কার্যকর ছিল না বলেই তিনি সেখানে গ্রেফতার হননি। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, আদৌ কি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিলে ? ওয়ারেন্ট জারি হয়ে থাকলে সেটি কোন মামলায়…
উৎসঃ নতুন বার্তা