ঢাকার দক্ষিণখানে পোশাককর্মী মো. আজহার হত্যামামলায় তার স্ত্রী আসমা আক্তার এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
হেফাজতে নিয়ে চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার দুজনকে ঢাকার আদালতে নিয়ে যান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার এসআই অনুজ কুমার সরকার।
আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি উল্লেখ করে তা নিতে বিচারকের কাছে আবেদন করেন তিনি।
এরপর মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান আসামি আসমার এবং মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল আসামি রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন।
এরপর আদালত আসমা ও রহমান দুজনকেই কারাগারে পাঠিয়ে দেন বলে আদালতে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানিয়েছেন।
জবানবন্দিতে দুজন কী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে র্যাব জানিয়েছে, তারা দুজন পরিকল্পনা করে আজহারকে হত্যা করেন।
গত ২৫ মে ভোররাতে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে আজহারের খণ্ড খণ্ড গলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
দক্ষিণখানে ‘মাদ্রাসাতুল রাহমানিয়া আল আরাবিয়া’ নামের মাদ্রাসার পাশেই মসজিদটি। এই মসজিদে ৩৩ বছর ধরে ইমামতি করে আসছিলেন আব্দুর রহমান। পাশাপাশি মাদ্রাসায় পড়াতেন তিনি।
মসজিদের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন আজহার। তার ছেলে ওই ইমামের কাছে আরবি শিখত। ফলে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল।
লাশ উদ্ধারের পর ইমাম রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন বলেও র্যাব জানায়। পরে আজহারের স্ত্রী আসমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, আসমার সঙ্গে রহমানের সম্পর্ক ছিল। তার জের ধরে দুজনের পরিকল্পনায় গত ১৯ মে আজহারকে মসজিদে নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন রহমান। পরে লাশ টুকরা টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ভরে রাখেন।