হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের অ্যাকাউন্টগুলোতে এক বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে হেফাজতের যেসব নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অতি সম্প্রতি আমরা হেফাজত নেতা মনির হোসেন কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাছাড়া মামুনুল হকের ৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য আমরা পেয়েছি। সেই অ্যাকাউন্টগুলোতে এক বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মাহবুব আলম বলেন, ‘হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকের শীর্ষস্থানীয় ও কওমী অঙ্গনের কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রেও একই অস্বচ্ছ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। আমরা মনে করি, এসব ক্ষেত্রে সরকারের আরও নজরদারি দরকার। আমাদের দেশে অনেক ভালো ও জ্ঞানী আলেম আছেন। যারা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ইসলামকে ব্যবহার করছেন, তাদের ভয়ে ভালো আলেমরা দূরে থাকছেন।’
হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় যেসব অভিযোগ আনা করা হয়েছে, তদন্তে সেগুলোর প্রমাণ মিলছে বলে জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার। তিনি বলেন, তাদের আরও অনেক অনিয়মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখন পর্যন্ত দুজন হেফাজত নেতা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা অভিযোগের সত্যতার জন্য যেসব প্রমাণ পাচ্ছি, সেগুলোই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে। তারা সেসব স্বীকার করুন আর নাই করুন, এতে মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা নানা অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট, ব্যাংক হিসাব প্রমাণ হিসেবে দেখাব।’
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ২৬ মার্চ সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়া ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে মাওলানা মামুনুল হক নারীসহ ঘেরাও হন। তাকে ছাড়িয়ে নিতে হেফাজতের কর্মীরা সেদিন রিসোর্ট ভাঙচুর করে। ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে একের পর এক রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।
London Bangla A Force for the community…
