গাজীপুরে কিশোরী মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত কিশোরীর বাবা মামলা করার পর আটক মাকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান জানান।
নিহত উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৭) বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মো. বজলুর রহমানের মেয়ে। বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসন থানার চান্দনা গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকত সে। গাজীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বিজলী।
২১ মে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাবা তার মায়ের (৪২) বিরুদ্ধে বাসন থানায় মামলা করলে রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরিদর্শক মিজানুর মামলার নথির বরাতে বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে নিরাপত্তাকর্মীর চাকরি করেন বজলুর রহমান। বড় মেয়ে বিজলীকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ২১ মে রাতে শাসন করছিলেন তার মা। একপর্যায়ে মেয়ের গায়ে দেয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন মা। আগুনে বিজলীর শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়।
প্রতিবেশীরা তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে বিজলী মারা যান বলে জানান পরিদর্শক মিজানুর।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঘঠনাস্থল থেকে পুলিশ কেরোসিনের একটি খালি বোতল উদ্ধার করেছে।”