কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া পাহাড়ি সড়কের পাশ থেকে অপহরণের তিনদিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ওই হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে শুরু হয় ধোয়াশা। রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে উঠে আসে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের তথ্য। বাবার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে হত্যা করা হয় মোটরসাইকেলচালক মুবিনকে। এই মুবিনের আয়েই চলতো তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলার লামা উপজেলার হলিরকাটা পাহাড়ি সড়কের পাশের ঝোপ থেকে অপহরণের তিনদিন পর ২১ মে দুপুরে মো. মুবিন নামে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মুবিন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
১৮ মে রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল ভাড়ার কথা বলে এক যুবক মুবিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এর তিন দিন পর মুবিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা কায়সার ও রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারের পর জানা যায়, কায়সারের বাবা অসুস্থ। তাকে জরুরি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু হাতে টাকা নেই। পরে তার সহযোগীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা মোটরসাইকেলচালক মুবিনকে রাত ১১টার দিকে একটি বিয়েতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মুবিনকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
পরে মুবিনের মোটরসাইকেল নিয়ে কায়সারের মামা কথিত কবিরাজ আলমগীরের কাছে বিক্রি করে।
এই ঘটনায় র্যাব-১৫ আব্দুল্লাহ নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।