অবশেষে বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সরকারি বাসভবনে গেলেন বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় কাদের মির্জা তার বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ভাইয়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি ওবায়দুল কাদেরের বাসায় প্রবেশ করেন। বেলা ৪টা ৪০ মিনিটে আবদুল কাদের মির্জা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমার পিতৃসমতুল্য বড় ভাই। বাংলাদেশের মেধাবী রাজনীতির প্রতীক যিনি তৃণমুল থেকে নিজ মেধা ও শ্রমে এশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকে পদস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদের অন্যতম সফল মন্ত্রী হয়েছেন। আমরা সর্বদা রাজনীতি করেছি জনগনের জন্য। জনগনের ভালোর জন্য। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বিশ্বাস করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, ইনশাহ আল্লাহ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগনের জন্য নিজেদের নিয়োজিত রাখবো।
তিনি লিখেন মান-অভিমানের মধ্যেই মানব জীবন রচিত হয়। আপনজনের প্রতি সাময়িক অভিমান হলেও তা কখনো স্থায়ী হতে পারে না। সব ভুলে শান্তির কোম্পানীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবন্ধ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে একত্রিত হতে আহ্বান জানাচ্ছি।
মেয়র কাদের মির্জা গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কোম্পানীগঞ্জের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে সঙ্কট নিরসনে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে আসতে দেয়া হবে না, তার স্ত্রী আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে, সেতু মন্ত্রনালয়ের নানা দুর্নীতির বিষয়ে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরর সাথে কাদের মির্জার দ্বন্দ্ব কোম্পানীগঞ্জে ওপেন সিক্রেট। অবশেষে তিনি ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার খবরে কোম্পানীগঞ্জজুড়ে নানা আলোচনা চলছে।