ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / জেবুন্নেছার ‘মর্যাদাহানি’ ঠেকাতে তথ্যকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিঠি

জেবুন্নেছার ‘মর্যাদাহানি’ ঠেকাতে তথ্যকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চিঠি

 

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘হেনস্তার’ ঘটনায় আলোচনায় আসা অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমকে নিয়ে ‘অসত্য’ সংবাদ প্রকাশ ঠেকাতে চাইছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

এজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং তথ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে গত সোমবার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগ তুলে আটকে রাখা হয়েছিল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর
রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলাও করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ওই মামলায় রোজিনা এখন কারাগারে রয়েছেন।

রোজিনা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সহকর্মীরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির খবর ছাপায় তিনি কর্মকর্তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছেন।

এদিকে সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে জড়িত হিসেবে অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছার নামও আসছে সোশাল মিডিয়ায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব আনজুমান আরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, রোজিনার ঘটনার ভিডিওতে যাকে কাজী জেবুন্নেছা বলা হচ্ছে, ওই নারী তিনি নন।

এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপন দিয়েও নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে।
এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপন দিয়েও নিজেদের বক্তব্য দিয়েছে।

তথ্য মন্ত্রণালয়কে বুধবার দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, “রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে এতে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবনের মর্যাদাহানি হচ্ছে।

“এ কারণে অনতিবিলম্বে বিষয়টি সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে কাজী জেবুন্নেসা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সম্পর্কে অসত্য সংবাদ, ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”

রোজিনাকে আটকে রাখার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা। ‘হেনস্তাকারী’ হিসেবে তার নাম উল্লেখের পাশাপাশি তাকেও ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে সোশাল মিডিয়ায় অনেকে চিহ্নিত করছেন।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, “কাজী জেবুন্নেছার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”