মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড মিঠাপুকুর শাখা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানতকারী ও গ্রাহকের ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে জনৈক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রী ও রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য দিলনাহার বেগম শান্তির ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ নিয়ে কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে প্রায় চার বছর আগে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংক শাখা খোলা হয়। আওয়ামী লীগ নেত্রী দিলনাহার বেগম শান্তি ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান খান আসাদ ওই এজেন্ট ব্যাংকের শাখা খোলেন। শাখা অফিসে জনবল নিয়োগের নামে ৫০ জন অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে জামানত বাবদ প্রায় এক কোটি টাকা গ্রহণ করেন তারা। এরপর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতকারী ও গ্রাহক তৈরি করা হয়।
এ পর্যন্ত শতাধিক আমানতকারী ও গ্রাহক সৃষ্টি করেন তারা। আমানতকারী ও গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা গ্রহণ করা হয়। এভাবে শাখা কার্যালয়ের কর্মচারী ও গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা গ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান খান আসাদ, দিলনাহার বেগম শান্তি ও তাদের সহযোগীরা। এরপর তিন মাস ধরে তারা আমানতকারীদের এড়িয়ে চলছেন। টাকা ফেরত চাইলেও কোনো কথা শুনছেন না। এদিকে দিলনাহার বেগম শান্তি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। অভিযোগকারীরা আমার ও আমার ছেলে আসাদুজ্জামান খানের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৬ কোটি নয়, চার ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ দেড় কোটির মতো টাকা আমানত নেওয়া হয়েছিল। যার বেশিরভাগ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। অন্য অভিযোগও মিথ্যা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন ভূইয়া বলেন, এটা আমার কার্যালয়ের দেখার দায়িত্ব নয়। তারপরও অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।