মাদারীপুরে এক কিশোরীর সঙ্গে দুই যুবকের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে। দুইপক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার পাকদী ও থানতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাদারীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের থানতলী এলাকার রব মৃধার ছেলে সোহাগ মৃধা, সাঈদ মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা, ফারুক আহম্মেদের ছেলে আব্দুল্লাহ আহম্মেদ, এনায়েত শেখের ছেলে রাজীব শেখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদারীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাকদী এলাকার আরিফ খলিফা ও শহিদ খলিফার সঙ্গে এক কিশোরীর (১৫) কিছুদিন আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সপ্তাহখানেক আগে আরিফ ও শহিদের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর জের ধরে বুধবার রাত ৯টার দিকে আরিফের সঙ্গে শহিদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পাকদী ও থানতলী এলাকায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অর্ধশত দোকানপাট-ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ৬ জন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, হঠাৎ রাতে শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘরবাড়ি-দোকানপাট লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এতে সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি করছি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের নামে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় সোহাগ মৃধা, শাকিল মোল্লা, আব্দুলাহ আহম্মেদ, রাজীব শেখ নামের ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।