আসন সংখ্যা ১৪৭*অংশগ্রহণকারী দল ১২*ভোট কেন্দ্র ১৮২০৮ *ভোটকক্ষ ৯১২১৩*মোট প্রার্থী ৩৯০*স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০৪*ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮
সংবিধান রক্ষার নির্বাচন আজ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বাধ্যবাধকতাকে পুঁজি করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াই হচ্ছে এ নির্বাচন। নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের সংখ্যা মাত্র ১২টি। আবার এ ১২টির মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়া সিংহভাগ দলই নামসর্বস্ব। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ আন্দোলনের বলি হয়েছেন শতাধিক মানুষ। পুড়ে অঙ্গার হয়েছে দুই ডজনের বেশি মানুষ। একটি সমঝোতায় পৌঁছার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন থেকে শুরু করে দেশের সুশীল সমাজ কারও প্রচেষ্টার বাকি নেই। কিন্তু সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের অধীনে হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্যরাও বহাল রয়েছেন স্বপদে। অনির্দিষ্টকালের অবরোধের পাশাপাশি ১৮ দলীয় জোট শনিবার সকাল থেকে কাল সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে। নির্বাচনের আগের দিন শনিবারও সারা দেশের শতাধিক ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়েছে। পোড়ানো হয়েছে নির্বাচনী মালামাল, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার। আন্দোলনে সীমাহীন রক্তপাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে আরও কত রক্ত ঝরবে তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিস্তর। নির্বাচনের পর কী হবে, এ অচলাবস্থা থেকে দেশবাসী কখন মুক্ত হবেÑ এ প্রশ্নও রয়েছে সর্বত্র। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সফলভাবে নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের ৫ বছর ৫ দিন পর আজ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে থাকছে না দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষক সংস্থা। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার মতো বিস্ময়কর ঘটনা ঘটায় নির্বাচন হচ্ছে অর্ধেকের কম আসনে। প্রার্থীর সংখ্যাও সর্বসাকুল্যে ৩৯০ জন। এত অল্পসংখ্যক আসনে কমসংখ্যক প্রার্থী নিয়ে এত সহিংসতার মধ্যে এর আগে দেশে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৭ বছর ১০ মাস ১৯ দিন পর আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পর্দা উঠেছে আজ। ষষ্ঠ বিতর্কিত নির্বাচনের জেরে মাত্র ৩ মাস ২৭ দিন পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুন দশম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দশম নির্বাচনের পর একাদশ নির্বাচন অর্থাৎ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়েও চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা।
ভোটগ্রহণের দুদিন আগেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা দেশ। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৪ লাখ সদস্য। নির্বিঘেœ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। সংঘাত-সহিংসতার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে। তবে আতঙ্কের নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত ইসি।
শনিবার ইসি সচিবালয়ের সাংবাদিকদের মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধনকালে নির্বাচনী এলাকায় ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোটার ও দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানের সংবাদে আমরা দেখেছি অনেক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছে। আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
নির্বাচনে দল, প্রার্থী ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা : ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশ নিচ্ছে ১২টি দল। এসব দলের ১৪৭ আসনে ৩৯০ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে থাকবেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২০, জাতীয় পার্টি (জাপা) ৬৬, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২৭, জাসদ ২১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৬, বিএনএফ ২২, গণতন্ত্রী পার্টি ১, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ৬, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩, গণফ্রন্ট ১, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়া ১০৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ৩০০ আসনে সর্বমোট ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭ ভোটারের মধ্যে ১৪৭ আসনের ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। বাকি ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ৪ কোটি ৮০ লাখ ২৭ হাজার ৩০ জন ভোটার ভোটাধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা : রিটার্নিং অফিসার ৬১, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ২৮৭, প্রিসাইডিং অফিসার ১৮ হাজার ২০৮, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৯১ হাজার ২১৩ ও পোলিং অফিসার ১ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩সহ) ৫৪৩। এর মধ্যে পুরুষ ৫১৬, নারী ২৭, স্বতন্ত্র ১০৪। দল ১২টি। তফসিল ২৫ নভেম্বর, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২ ডিসেম্বর, বাছাই ৫-৬ ডিসেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর, ভোট ৫ জানুয়ারি।
ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে তৎপরতা : ইসি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য মন্ত্রণালয় সব মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকদের কাছে ভোটে অংশ নিতে এসএমএস দেয়া হয়েছে। বার্তাগুলো হচ্ছে ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার, নির্বাচনে ভোট দিয়ে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন।’ ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখুন।’ ‘নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে, নির্ভয়ে, নির্বিঘেœ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন।’ বরাবরের মতো এবারও ভোটের আগের দিন বিশেষ নম্বরে এসএমএস করে কেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জানানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিগত নির্বাচনগুলোর ভোটের হার : নবম সংসদে রেকর্ডসংখ্যক সর্বমোট ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০০৮ সালের নবম সংসদে ৩৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নেয়। বিরোধী দল বিএনপি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশ ভোট পায়। আওয়ামী লীগ পায় ৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ গত বছর অক্টোবরে বরগুনা-২ উপনির্বাচনে ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশ নিয়েছিল। নবম সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পড়লেও পরে উপনির্বাচনে ৩৪.৭৩ শতাংশ ভোটের নজিরও রয়েছে।
অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৫৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়ে ভোট পড়ে ৭৫ শতাংশ। ৮১টি রাজনৈতিক দলের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে। এতে ৭৫টি দল অংশ নেয়। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে আটটি দলের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৫ শতাংশ। তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিয়েছিল। তাতে ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৯টি দল অংশ নিলে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ১৪টি দল অংশ নিয়ে ভোট পড়ে ৫৪ শতাংশ। দেশের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১১ সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন বাতিল হয় ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারি।
যান চলাচল বন্ধ : শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টাও সব ধরনের মিছিল-মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
বিশেষ মনিটরিং সেল : নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে বিশেষ মনিটরিং সেল। প্রাপ্ত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় ভিজিল্যান্স টিম ও অবজারভেশন টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে এসব এলাকায় সব ধরনের বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী ও র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করবে : আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে র্যাব হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসি সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার পরিবহনে সহায়তা দিচ্ছে। নিজ নিজ বাহিনীর সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী রোগী-হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা, স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার সুবিধাজনক স্থানে মোতায়েন করবে বিমান বাহিনী। সেনা সদরের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা সদস্য রিজার্ভ হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচনী মালামাল পাঠাতেও হেলিকপ্টার প্রয়োজন হয়। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত হেলিকপ্টার সার্ভিস দিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক : নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের ২৯টিসহ ৪৪টি দেশি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়া ভারত ও ভুটানের মাত্র দু’জন করে চারজন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এ নির্বাচনে বিদেশি অন্য কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা পর্যবেক্ষণ করছে না।
ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা : রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ ও পরিবেশন করা হবে। পাশাপাশি কমিশন সচিবালয়ে ফল সংগ্রহের জন্য ১১টি তথ্য সংগ্রহ সেল খোলা হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার প্রযুক্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ফল সংগ্রহ করবে ইসি।
তিন স্তরের নিরাপত্তায় সাড়ে চার লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য : নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে ইসি। নির্বাচনী মাঠে থাকছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তার বাইরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, অঙ্গীভূত আনসার ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ন ও এপিবিএন সদস্যরা মাঠে সার্বক্ষণিক টহলে নেমেছে। এসবের মধ্যে অঙ্গীভূত আনসার ভিডিপি, আনসার ব্যাটালিয়ন, গ্রাম্য পুলিশ, চৌকিদার ও দফাদার থাকবে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০৮ জন। পুলিশ প্রতি কেন্দ্রে ৬ জন করে থাকবে ১ লাখ ৯ হাজার ২৫৪ জন। সেনাবাহিনী থাকছে ৫০ হাজার। র্যাব থাকছে ৩০ হাজার। বিজিবি থাকছে ৬০ হাজার। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড এবং পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় বিমান বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪৭ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৯৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুরুতর অপরাধে তাৎক্ষণিক সাজা দেবেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি ভোট কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৮ জন করে নিরাপত্তা রক্ষী থাকছে। পর্যবেক্ষক ১০ হাজার ৩৫৫ জন।