গতকাল দেশে ৭ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, আর ঢাকায় ২৬ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ঢাকায় ১৯৯৫ সালে সর্বশেষ ৩৯ ডিগ্রিতে উঠেছিল তাপমাত্রা, যা ২৬ বছর পর গতকাল রবিবার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া সে বছর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এখন পর্যন্ত সবেচেয়ে বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড। ঢাকায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল ১৯৬০ সালে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গতকালের আগে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২০ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া ১৯ ও ২৪ এপ্রিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের একাধিক জায়গায় ৩৯ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রার পারদ উঠেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও যদি তাপমাত্রা বাড়ে, তাহলে তা তীব্র দাবদাহে রূপ নেবে। বর্তমানে দেশের ৯টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা বজায় থাকতে পারে আরো কয়েক দিন। ফলে তাপমাত্রা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল রবিবার আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল রবিবার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে, ৪১ দশদিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাফিজুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ আরো তিন-চার দিন থাকতে পারে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপমাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তবে কী কারণে বৃষ্টিপাত এত কম হচ্ছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব নয়। আরো তিন-চার দিন তাপপ্রবাহ থাকার পর বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। সারা দেশে আজও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও আগামী সপ্তাহের শুরুতেই স্বস্তি ফেরাবে ঝড়বৃষ্টি। আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
London Bangla A Force for the community…
