শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠেয় আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একটি অগণতান্ত্রিক ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে একতরফাভাবে সরকার যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তাই বিএনএফ এ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন অনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হবে। একই সঙ্গে দলের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অবৈধভাবে দল থেকে যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরে আসতে নির্দেশ দেয়া হবে।’
দেশকে জাতীয়তাবাদী শক্তিতে রূপান্তরিত করতে আগামী ৩১ জানুয়ারি বিএনএফের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। কাউন্সিল হওয়া পর্যন্ত তার নেতৃত্বাধীন কমিটিই সব দায়িত্ব পালন করবে বলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ জিয়া, মহাসচিব শহিদ চৌধুরী, যুগ্মমহাসচিব আশরাফুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম কাঁকন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর আলোচিত ও বহুবিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পায়।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর দলের মধ্যে নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি, মনোনয়ন বাণিজ্য এবং গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজের অভিযোগ এনে বিএনএফ থেকে দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির স্থায় কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এ দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেও পরে তাকে বহিষ্কার করে দলের কমিটির ঘোষণা কর হয়।
নিবন্ধন পাওয়া পর দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তারা ২২ আসেন প্রার্থী ঘোষণা করে। কিন্তু ২৮ ডিসেম্বর দলের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদকে বহিষ্কার এবং নাজমুল হুদাকে চেয়ারম্যান ঘোষণার পর অবস্থান পাল্টে যায়। সর্বশেষ ২ জানুয়ারি ভোটের তিন দিন আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিল দলটি।