সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকায় মঈন নিজের জার্সি থেকে সেই প্রতিষ্ঠানের লোগো তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু চেন্নাই দাবি করেছে, এই সংবাদটি ভুল। যদিও মঈনের জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের লোগো দেখা যায়নি। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি টুইট করেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন, ‘মঈন আলী ক্রিকেট না খেললে সিরিয়াতে গিয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ দিত।’ এমন টুইটের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। পরে যদিও সেই টুইট মুছে ফেলেছেন ১৯৯৪ সালে দেশত্যাগ করা বাংলাদেশের আলোচিত এ লেখিকা। তবে বিতর্কিত ওই টুইটের রেশ রয়েগেছে। অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়ার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বয়কটের কথাও ভাবছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। জানিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
গত দুই বছরে একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আচরণের শিকারের অভিযোগ করেছিলেন জফরা আর্চার। এবার অনলাইনে হেনস্তার শিকার মঈন আলী। মঈনকে ‘জঙ্গি’ বলায় রিটুইটে কড়া প্রতিবাদ জানান আর্চার। সেসময় কোন মন্তব্য না করলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। টেস্টে ৫১৭ উইকেটের মালিক এই পেসার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালো বিষয়ের অভাব নেই। কিন্তু সেখানে যদি বাজে কিছু ঘটে অবশ্যই সেটার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যদি আমাদের ড্রেসিংরুমের সিনিয়ররা এর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় অথবা যদি দল সত্যিই এসবের পরিবর্তন চায় তাহলে আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে। আমাদের নীতির সঙ্গে যায় না এমন ঘটনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এটা করতে পারলে (বয়কট) কঠিন বার্তা দেয়া হবে। আমি মনে করি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
London Bangla A Force for the community…
