রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা আল মামুন খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রোববার (১২ এপ্রিল) মধ্যরাতে পুঠিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক সিনিয়র নার্স। ওই নার্স পুঠিয়ার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী সিনিয়র নার্স জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় নাক কান গলা ইন্সটিটিউটে কর্মরত।
ওই তরুণীর দাবি, গত ২০১৯ সালে তিনি পুঠিয়া সদরের ‘জনসেবা ক্লিনিকে’ কর্মরত থাকা অবস্থায় বর্তমান মেয়রের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মন দেওয়া-নেওয়ার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য মেয়র মামুনকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না বলে জানান। নিরুপায় হয়ে রোববার দুপুরে পর বিয়ের দাবিতে তিনি মেয়র মামুনের পুঠিয়া সদরের চেম্বারে হাজির হন। কিন্তু তাকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, পরে নার্স নিজেই বাদী হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। থানায় তার এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আসামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েকবার চেষ্টা করেও মেয়র আল মামুন খানের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।