দেশে চলমান ‘লকডাউনের’ ধারাবাহিকতা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রথম দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগে রোববার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজ শেষ হচ্ছে প্রথম দফার লকডাউন, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন।
“প্রথম ধাপের চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত।”
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়বহ আকার ধারণ করায় গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার কথা রোববার।
এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সার্বাত্মক লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার কথা।
কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় দফা লকডাউনের মাঝের দুইদিন ১২ ও ১৩ এপ্রিল কিভাবে চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
রোববার সাংবাদ সম্মেলনে তা পরিষ্কার করলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ধারাবাহিকতায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে।
“১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন, এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সকলকে ঘরে অবস্থান করতে হবে আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ সরকার সময়মতো প্রজ্ঞাপন জারি করবে।”
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আগামীকাল সোমবার এবং পরশু মঙ্গলবার যথারীতি শুধুমাত্র দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় শর্তসাপেক্ষে সমন্বিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলবে এবং দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।
“জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শেখ হাসিনা সরকার ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিআরটিসিসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনসমূহ সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবহন চালাবেন।”
ওবায়দুল কাদের দেশের মানুষকে এই সংকটকালে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন স্বাস্থ্যবিধির প্রতি সামান্য অবহেলা আমাদের চিরচেনা জীবন থেকে ছিটকে দিতে পারে।
“জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে আমাদের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখুন স্রষ্টার প্রতি। সকলের প্রচেষ্টা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এ মহামারি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আবারও ফিরবে পৃথিবী নিজ রূপে।”