গাইবান্ধায় নিজের বাসায় আটকে রেখে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আর্থিক লেনদেনের জেরে ব্যবসায়ীকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করলেও তাকে হত্যা করেননি বলে আওয়ামী লীগ নেতার দাবি।
সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, শনিবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে হাসান আলী (৪৫) নামে এই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
হাসান জেলা শহরের থানাপাড়ার হজরত আলীর ছেলে। শহরের জুতার দোকান রয়েছে তার।
গ্রেপ্তার মাসুদ রানা (৪০) জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। তার জেলা শহরের খানকা শরীফ এলাকার বাসা থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হাসান আলীর ভায়রা ভাই মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, “আর্থিক লেনদেনের জেরে হাসানকে গত ৫ মার্চ মোবাইল ফোনে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন মাসুদ। মাসুদের দাবি তিনি হাসানের কাছে ১৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা পাবেন।
“গত ৬ মার্চ এই নিয়ে হাসানের স্ত্রী বীথি বেগম সদর থানায় অভিযোগ দেন। তার পরদিন থানায় সালিশ-বৈঠক হয়। সমাধান না হওয়ায় তাকে আবারও মাসুদ নিজের বাড়িত নিয়ে যান। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আমরা খবর পাই হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে মাসুদ তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছেন।”
থানায় সালিশ-বৈঠকের বিষয়ে ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, “দুই পক্ষ থানায় বসেছিল। বিষয়টি ওই দিন মীমাংসা হয়েছিল বলে আমি জানি।”
আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ ব্যবসায়ী হাসানকে আটকে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। থানায় নেওয়ার পর সেখান থেকে আবার বাসায় নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।
মাসুদ বলেন, “থানা থেকে হাসানকে আবারও আমার বাড়িতে নিয়ে রেখেছিলাম। সেই থেকে হাসান আমার বাড়িতেই আটক ছিলেন। তবে আমি তাকে হত্যা করিনি। হাসান আত্মহত্যা করেছেন।”
হত্যা না আত্মহত্যা সে সম্পর্কে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি।
ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করা হযেছে।
লেনদেনের বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি। নিহত হাসানের পরিবারও বিষয়টি বলতে চায়নি।
এলাকাবাসীর জানান, মাসুদ রানা এলাকায় দাদন ব্যবসা করেন। মাসুদ তার কাছ থেকে দাদন নিয়েছিলেন।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর মাসুদ রানা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও তিনি কোন বাবদ হাসানের কাছে টাকা পাবেন তা বলতে চাননি।
London Bangla A Force for the community…
