ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / শিশু বক্তা মাদানীকে জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে

শিশু বক্তা মাদানীকে জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে

 

শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২- এ নেওয়া হয়েছে।

কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম জানান, মাদানীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে শনিবার বেলা ১২টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ আনা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে এ কারাগারে রাখা হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। বুধবার রাতে নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, “আসামি গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা থেকে ১০টায় গাজীপুরের গাছা থানাধীন বোর্ড বাজারের কলমেশ্বর এলাকার শীতক ফ্যাক্টরির ভেতর ওয়াজ মাহফিলে বক্তা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র তথা সরকারবিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করে, যা তার নির্দেশে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।”

তার ‘উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে’ ২৬ মার্চ ঢাকায় বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নাশকতা ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংগঠিত হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে মাদানীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি।

ওই সময় বিক্ষোভ ও হেফাজতে ইসলামের হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল।

মাদানীর ওয়াজে সহিংসতার উসকানি ছিল বলে র‌্যাবের দাবি।

মাদানীর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামে। সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয় বলে স্বজনরা জানায়।

ইসলামী দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় রফিকুলের বয়স ২৫ বছর হলেও আকার-আকৃতির জন্য তাকে ‘শিশু বক্তা’ বলে ডাকেন তার ভক্তরা।

গাজীপুর মহানগরের বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে মারকাজুন নূর আল ইসলামিয়া নামে একটি আবাসিক মাদ্রাসা রয়েছে। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদনী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।