সিলেট নগরীর ঘাসিটুলায় জায়গা দখলের লক্ষ্যে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লােকজন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানাে হয়।
এর আগে বুধবার দুপুরে এ ঘটনার পর এসএমপির কােতােয়ালী মডেল থানায় ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘাসিটুলার দেলােয়ার হােসেন সােহেলের ক্রয়কৃত জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরােধ চলে আসছিল। ওই ভূমি দখলের লক্ষ্যে প্রায়ই প্রতিপক্ষরা ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরে প্রতিপক্ষের লােকজন সশস্ত্র একদল সন্ত্রাসী নিয়ে এসে দেলােয়ারের জায়গায় স্থাপিত টিনসেড ঘর ভেঙে ফেলে। শুধু তাই নয়, ঘরে প্রবেশ করে টিভি, মােবাইল, স্বর্ণ ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিস লুটে নেয়। এসময় তাদের হামলায় দেলােয়ারের মা, স্ত্রী ও কন্যাসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
বিষয়টি প্রতিবেশীরা সরকারের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফােন করলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রেশমা বেগম (৩৫) ও শামীমা বেগম (৩০) নামের দুইজনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ভাংচুর ও লুটপাটের পর দেলােয়ারের ছােট ভাই মাে: সুমন খান বাদী হয়ে বুধবার রাতে কােতােয়ালী মডেল থানায় ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। আসামীরা হলাে- ঘাসিটুলার আবদুস ছত্তারের পুত্র আবুল কালাম (৩৫), জিলাল মিয়ার পুত্র রেজা (৩৩) ও জুবায়ের (৩০), মৃত ইলাছ মিয়ার পুত্র বেলাল আহমদ (৩৭), মৃত ছইদ উল্লার পুত্র জিলাল মিয়া (৫৫), মৃত ইলাছ মিয়ার দিলাল মিয়া (৩৮), মৃত শহিদুল্লার পুত্র নাজিম (৫০) ও মাজন (৪৮), মৃত ছইদ উল্লাহর পুত্র ফয়েজ (৪৫), মৃত জইন উদ্দিনের পুত্র মটাই সােহেল (৩০), ইদ্রিছ মিয়ার পুত্র আখলিছ মিয়া (৪৫), কন্যা শামিমা বেগম (৩০) ও রেশমা বেগম (৩৫), ইলাছ মিয়ার স্ত্রী বেবিনা বেগম (৩০) ও তবারক আলীর পুত্র মইন উদ্দিন।
এরপর পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক শামিমা বেগম ও রেশমা বেগমকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করেন।