দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ে বেকায়দায় হাইআতুল উলয়া দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ে বেকায়দায় হাইআতু উলয়া সরকার ঘোষিত লকডাউনের সময়ও দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’। সংস্থাটি বলছে, লকডাউনের বিধি-নিষেধের কারণে পরীক্ষার্থীরা স্ব স্ব মারকাযে (কেন্দ্রে) স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করবে। যদিও সরকারের একাধিক মন্ত্রী কওমি মাদ্রাসাও লকডাউনে বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন। অবশেষে সরকার ৬ এপ্রিল পৃথক প্রজ্ঞাপন দিয়ে কওমি মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে, যা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সরকারের এমন ঘোষণায় বেকায়দায় হাইআতুল উলয়া।
সরকার ৬ এপ্রিল মাদ্রাসা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পরও আজ ৭ এপ্রিল পরীক্ষা চালিয়ে নিয়েছে সংস্থাটি। আগামীকাল ৮ এপ্রিলও রয়েছে পরীক্ষা। তবে সেটি কীভাবে দ্রুত শেষ করা যায় সেটির কৌশল ঠিক করতে বৈঠক করেছেন হাইআতুল উলয়া’র শীর্ষ কর্তারা।
হাইআতুল উলয়া’র একজন কর্মকর্তা বলেন, ৮ এপ্রিলেই পরীক্ষা শেষ। তবে সেটি কীভাবে দ্রুত শেষ করা যায় সেটা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আজই একটি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জানা গেছে, ১ এপ্রিল থেকে এ বছর দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে হেফাজতের বিক্ষোভ, আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় পরীক্ষার্থীদের অনেকেই তারিখ পেছানোর আবেদন করে। পরবর্তীতে দুই দিন পিছিয়ে ৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ২২২টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হয়। যদিও ২৯ মার্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১৮ দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সেই প্রজ্ঞাপনের (ত) ধারার মতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় হাইআতুল উলয়া। ত- ধারায় বলা হয়েছে, সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোনও ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে রবিবার (৪ এপ্রিল) এ বিজ্ঞপ্তিতে হাইআতুল উলয়া জানিয়েছে, ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাওরায়ে হাদিসের অবশিষ্ট আট বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে। সকাল ও বিকাল দুই বেলা দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় ২টা ৪৫ মিনিট। সকালে পরীক্ষা শুরু হবে ৯টায়, শেষ হবে ১১টা ৪৫ মিনিটে। বিকালে পরীক্ষা শুরু হবে ২টায়, শেষ হবে ৪টা ৪৫ মিনিটে।
এদিকে লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া এবং একই দিনে দুটি করে পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা।