হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জঘন্য ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুন জ্বলছে তখন আনন্দ ভ্রমণ করছেন হেফাজত নেতা। মামুনুল হকরা হচ্ছেন এজেন্ট। রোম যখন পুরছিল তখন নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিল। আর এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে আর তিনি তখন ফুর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে। ফুর্তি করেন আপত্তি নাই,কিন্তু ন্যায্য বউ নিয়ে যান।
এ সময় মামুনুলের সঙ্গে থাকা নারী তার প্রকৃত স্ত্রী কী না সেটির প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য ঢাকা থেকে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট টিম সফর করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরার লক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ডা: জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে।
তিনি বলেন, রেল স্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও শনিবার আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান । তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোন তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী সবার পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তব তুলে ধরে বলেন, নিহত আহতদের তালিকা প্রকাশ করে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বায়তুল মোকাররম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে হবে। তদন্ত কমিটিতে নাগরিকদের বিভিন্ন পক্ষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২০ হাজারের অধিক মানুষের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই সব মামলার নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, রাষ্ট্র চিন্তার দিদারুল ভূইয়া, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমাতউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।