কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সানোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক কলেজ শিক্ষক তার ছাত্রের মা ও বোনকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ছাত্রের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা বহলবাড়িয়া গ্রামের মো. ইদবার আলীর ছেলে। তিনি ভেড়ামারার নওদাপাড়ায় সস্ত্রীক ভাড়া থাকেন।
এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
জানা যায়, সানোয়ার হোসেন ভেড়ামারা পৌর শহরের নওদাপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন। একপর্যায়ে তিনি ওই ছাত্রের মাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন।
গত সোমবার দুপুর ৩টায় আবার ওই বাড়িতে যান শিক্ষক সানোয়ার। এসময় তার সঙ্গে ছাত্রের মার কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর তিনি রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে ওই নারীর মাথায় ও পেটে আঘাত করেন।
এসময় মাকে বাঁচাতে অনার্স পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন সানোয়ার। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে ভেড়ামারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ রায় সানোয়ারকে আটক করেন।
মুমূর্ষু অবস্থায় ছাত্রের মাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে ৬২টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
এদিকে আহত মেয়েকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জালাল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষককে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষকের স্ত্রী তার অনৈতিক সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রায়ই তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন সানোয়ার। ইতোপূর্বে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে একাধিকবার সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি।
এলাকাবাসী লম্পট ওই কলেজ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।