মামুন ও লেনিন দুজনেই নির্মাণশ্রমিক। সোমবার রসিকতা থেকে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি ও মারামারি। একপর্যায়ে মামুন খুন হন। অভিযোগের তির লেনিনের দিকে।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক কবির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার বিকেলের দিকে সহকর্মীরা মামুনকে (১৮) গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের সহকর্মী ও বন্ধু ফাহিম বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন স্থাপনায় মামুন ও লেনিন দুজনেই কাজ করতেন। মামুন যখন সিমেন্ট–বালু ওপরে তুলছিলেন, তখন নিচে থাকা লেনিনের গায়ে তা পড়ে। এতে লেলিন রেগে গিয়ে তাঁকে বকাঝকা করেন। পরে মামুন রসিকতা করে আরও কিছু বালু লেনিনের গায়ে ফেলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ফাহিম আরও বলেন, একপর্যায়ে মামুন লেনিনের মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয়ভাবে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তাঁদের মিটমাটও হয়ে যায়। কাজ শেষে দুজনেই একসঙ্গে মেসে চলে যান। মেসে যাওয়ার পর আবারও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। লেনিন এ সময় মামুনকে বেধড়ক মারধর করেন। মারের চোটে মামুন অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান সহকর্মীরা। কিন্তু তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।
নিহত মামুন দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানার মোহনপুর গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত অভিযুক্ত লেনিনকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।