করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ আরো বাড়বে কিনা সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে পুনঃমূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা বলেন।
অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ধারা সামাল দিতে শনিবার ‘লকডাউনের’ ঘোষণা দেয় সরকার, যা সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এ সময়ে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা সুষ্পষ্ট করে। এতে বলা হয়েছে, ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মহামারী পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত ২৯ মার্চ যে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটির আলোকে এসব নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ লোকবল দিয়ে সরকারি অফিস চালানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সচিবালয়েরও বেশরিভাগ দপ্তর খোলা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমরা তাদের বলে দিয়েছি, তাদের কমফোর্ট অনুযায়ী কমানোর জন্য। দরকারী কাজ চালানোর জন্য যতটুকু দরকার ততটুকুই থাকবে।”
লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “দেখি আমরা সাত দিন পর কী অবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার আমরা রিভিউ করব ইনশাআল্লাহ।
“মানুষকে তো কো-অপারেট করতে হবে। আপনারা তো বলছেন…সবাই যদি একটু মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তবে তো অসুবিধা হওয়ার কথা না।”