ঢাকার সাভারে কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তারের পর এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার ভোরে র্যাব বাবু আকন নামের এই যুবককে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ বছর বয়সী এই মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাবু আকন আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।
আশুলিয়ার থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে এই মেয়েটি বাবু আকনের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে ‘বিয়ের জন্য চাপ দিলে’ বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মেয়েটিকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয় বাবু।
মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
এসআই ইকবাল হোসেন বলেন, জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু হয়। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ‘প্রেমিক’ বাবু আকনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার পাঁচ দিন পর মেয়েটির বস্তাবন্দি মরদেহ নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ৩১ মার্চ রাতে বাবু আকন মেয়েটিকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক অটোরিকশা চালকের সহায়তা চান। কিন্তু অটোরিকশা চালকের সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে র্যাবকে জানান।
“পরে র্যাব-৪ বাবু আকনকে শনিবার ভোরে আটক করে পুলিশ দেয়।”
এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান এসআই ইকবাল।
ইকবাল আরও জানান, গ্রেপ্তার বাবু আকনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত নারী কুরগাঁও এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়।