পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের প্রাক্কালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। ৩ এপ্রিল শনিবার এক জনসভায় তার এ সফর নিয়ে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, গুণ্ডা আনতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদি।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বরাবরই বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে থাকে। গত ফেব্রুয়ারিতেই দলটির নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক জনসভায় বলেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ থেকে একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না।’ ইতোপূর্বে কথিত মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ‘উঁইপোকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার বিজেপি-র কথিত এই ‘অনুপ্রবেশ’ অস্ত্রকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘অন্য সময় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আসছেন। আর নির্বাচনের সময় (নিজে) ভোট চাইতে গেছেন।’
কুলপি এলাকার ওই জনসভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভিন রাজ্যের পুলিশ বাহিনী গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘(কেন্দ্রীয় বাহিনী) গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাবে। সীমান্ত এলাকায় (ভয়) দেখাচ্ছে। যার জন্য উনি (নরেন্দ্র মোদি) বাংলাদেশে ঘুরে এসেছেন। ওখান থেকে মনে হয়, কিছু আমদানি করছেন। করতেই পারেন। অন্য সময় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারী নিয়ে আসছেন। আর নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে গেছেন। গুণ্ডা আনতে গিয়েছেন।’
আমফান-বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে মমতা দাবি করেন, গত বছর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কোনও সাহায্য করেনি। তৃণমূল সরকারই যাবতীয় সাহায্য করেছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে একইসঙ্গে ত্রাণ বণ্টনে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তাও কার্যত স্বীকার করে নেন। দাবি করেন, কয়েক জায়গায় অল্প বিস্তর ভুল হয়েছিল। তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও পুরোটাই ঠিক করে দেওয়া হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।