ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওজনের শিশু জন্ম দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রসূতি

দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওজনের শিশু জন্ম দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রসূতি

 

নবজাতক শিশুর সাধারণ ওজন আড়াই কেজি হতে সাড়ে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হলি ল্যাব হাসপাতালের ১০৩ নম্বর কক্ষে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওজনের শিশুটির জন্ম হয় ; যার ওজন প্রায় ৬ কেজি। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন। সদ্যপ্রসূত ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুয়াজ।

প্রসূতির নাম তাসলিমা বেগম (৩৮)। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের আবুল বাশারের স্ত্রী।

এ বিষয়ে হলি ল্যাব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু কাউসার বলেন, গত দুদিন আগে জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রাম থেকে তাসলিমা আক্তার হলি ল্যাব হাসপাতালে ১০৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন।

পরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই মা পাঁচ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেন। অস্বাভাবিক ওজনের শিশুর জন্মের খবর পেয়ে নার্স, চিকিৎসকসহ উৎসুক জনতা হাসপাতালে ভিড় করেন।

এ বিষয়ে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমি আজকের দিনটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। ছেলে ও আমি সুস্থ আছি।

ওই শিশুটির বাবা ও অরুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার জানান, এটি তাদের চতুর্থ সন্তান। তিনি বলেন, আমার আগের শিশুগুলো স্বাভাবিক প্রসবে পৃথিবীর আলো দেখে। ওই শিশুদের স্বাস্থ্যও ভালো ছিল। নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুশি। আমার পরিবার ‘ধন্য’ হয়েছে।

তিনি জানান, শিশুর মা গর্ভকালীন সময় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেয়েছিলেন। হয়তো এর কারণে বেশি ওজনের শিশু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ও হলি ল্যাব হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফৌজিয়া আক্তার এ বিষয়ে বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বেশি ওজনের বাচ্চাদের বলা হয় ম্যাক্সোসোনিয়া। সাধারণত মা-বাবা ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলে অথবা শিশুর মা-বাবার বেশি ওজন হলে ম্যাক্সোসোনিয়া (বেশি ওজনের শিশু) শিশুর জন্ম হতে পারে।

তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো এ ধরনের কোনো লক্ষণ শিশুর মা-বাবার মধ্যে নেই। এটা আল্লাহর রহমত বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে মা ও শিশুর সুস্থ আছেন।

ফৌজিয়া আক্তার আরও বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরও তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

তিনি জানান, এর আগে ২০০৭ সালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ছয় কেজি ওজনের শিশু জন্ম নিয়েছিল। জানা মতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌনে ছয় কেজি ওজনের শিশুটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওজনের ভূমিষ্ঠ শিশু।