‘টিসিবি পণ্য, দামে সাশ্রয়ী, মানে অনন্য’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেট বিভাগের চার জেলায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভ্রাম্যমান ট্রাকসেল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে সিলেট বিভাগের চার জেলায় ২৭ টি পয়েন্টে প্রতিদিন ট্রাকসেলে টিসিবি পণ্য তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে। তবে, পেয়াজ ছাড়া অন্যান্য পণ্যে আগের চেয়ে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এতে প্রতি লিটার তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকায়, ডাল ও চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর নতুন করে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৫৫ ও খেজুরের দাম ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে টিসিবি। তবে, সবাইকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দুরত্ব মেনে পণ্য বিক্রি ও ক্রয় করার করার নির্দেশনা রয়েছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে খোলাবাজারে প্রথম ধাপে পণ্য বিক্রি করে আসছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট শহরে প্রতিদিন ৮টি পয়েন্ট মদিনা মার্কেট, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে, রিকাবী বাজার, টিলাগড় পয়েন্ট, আম্বরখানা পয়েন্ট, রেজিস্টারী মাঠ, বাগবাড়ি পিডিবি ও শাহী ঈদগাহ। মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের জেলা শহরে প্রতিদিন দুইটি করে ৬টি ট্রাক নির্ধারিত পয়েন্টে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে। তবে এই তিন জেলা শহরে আরও ট্রাকসেল বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে টিসিবি কতৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিদিন সিলেট বিভাগের ১৩ টি উপজেলায় টিসিবি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার ডিলারগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অনুযায়ী স্থান নির্ধারণ করে পন্য বিক্রি করবেন।
টিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাকসেলে একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া রমজান উপলক্ষে দুই কেজি ছোলা ৫৫ টাকা দরে এবং এক কেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে পাবেন।
আরও জানা গেছে, সিলেট বিভাগে ১৬১ জন টিসিবি ডিলার রয়েছেন। তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ২৭জন ডিলার ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছেন। তবে, পণ্য মজুদের উপর ভিত্তি করে ট্রাকসেল বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার শেরপুর টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. ইসমাইল মজুমদার বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলো টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ডিলার ব্যতিত টিসিবি পন্য সামগ্রী বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ বলে জানান তিনি। তিনি করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পন্য বিক্রি ও ক্রয় করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে এ বছর নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে। রমজান উপলক্ষে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, ৮ হাজার টন ছোলা, ৬ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানা গেছে।