ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) ও রবিবার (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫টি ও আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটিতে অজ্ঞাতনামা চার থেকে ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আনসারের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪শ’-৫শ’ লোককে আসামি করা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবিব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ২শ’-৩শ’ লোককে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হেফাজতকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের এসআই মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক থেকে দেড়হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আশুগঞ্জ হাই ওয়ে সার্জেন্ট জহিরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪শ’-৫শ’ লোকের বিরুদ্ধে একটি এবং আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়নাল আবেদীন অজ্ঞাতনামা ৪শ’-৫শ’ লোকের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ১২ বিক্ষোভকারী নিহত এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিনসহ পুলিশের ৮০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, গত সোমবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসযজ্ঞ স্থাপনাগুলো সরজমিনে পরিদর্শনকালে বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করতে অতিরিক্ত ডিআইজিকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’