‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত এবং শিবির সন্ত্রাস ও অরাজকতা তৈরী করবে বলে প্রচার চালিয়ে আসছিলো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। কিন্ত বিএনপি-জামায়াতের কৌশলের কাছে নিজেরাই জাতীয় প্রেসক্লাব ও পবিত্র সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়ে এখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে বেকায়দায় আ’লীগ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এ দুটি স্থানে কোন রাজনৈতিক দল সরাসরি হামলা চালালো।
বিএনপি-জামায়াত জোট ঘোষিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা” কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সরকার এবং আওয়ামী লীগের প্রস্ততি ছিলো চোখে পড়ার মতো।অথচ যারা এই কর্মসূচী ডেকেছে সেই জামায়াত-বিএনপির তৎপরতা তেমন একটা পরিলক্ষিত হয় নাই।
আর এর সবটাই ঘটেছে বিএনপি-জামায়াতের কৌশলী সিদ্ধান্তে। কৌশলটি ফলপ্রসু হয়েছে বলে দাবী করেছে বিএনপি-জামায়াতের একটি সূত্র। একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
সারাদেশ থেকে কর্মীদের ঢাকা আসার ঘোষনা দিলে সরকার এমনিতেই বাধা দিবে। আ’লীগের অতি উৎসাহী নেতারা মারমুখি কর্মীদের লাঠি হাতে মাঠে নামাবে। এত জনসাধারণ হয়রানির শিকার হবে। বিএনপি-জামায়াতের এই ধারনা প্রমান করে দিয়েছে আ’লীগ। তারা শুধু স্বসশ্র মহড়াই দেয় নি, আক্রমন এবং হামলা চালিয়েছে সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং আইনজীবীদের উপর। যা দেশী এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে চলে গেছে।
আ’লীগ আজ শক্তি প্রদর্শন করলেও শক্তি সঞ্চয় করে রেখেছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের ঢাকায় অবস্থান রত কর্মীদের ঢাকাতেই থাকতে বলেছে।
বেগম জিয়া স্পষ্টই প্রশাসনকে বলেছেন, আপনারা কতদিন এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখবেন?
বিএনপি-জামায়াত যদি তাদের এনই গনতন্ত্রের অভিযাত্রা না করতে পারা পর্যন্ত অব্যাহত রাখে তাহলে সরকারকে ও দেশব্যাপী জনভোগান্তির এই অবরোধ অব্যাহত রাখতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতের এই কৌশল আ’লীগকে বেকায়দায় ফেললেও নতুন প্রেরণা পেয়েছে ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা।
এছাড়া আ’লীগ নেতাদের টিকা-টিপ্পনীকে মোকবেলা করে বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশে আসার চেষ্টা এবং কৌশলে সংবাদ কর্মীদের বাসায় প্রবেশ করিয়ে তাদের সাথে দৃঢ় চিত্ত্বে কথা বলাও আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচীর প্রথম দিনে সব কিছু ছাপিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আর প্রেসক্লাবে পুলিশী উপস্থিতিতে সরকার দলীয় হামলা নিরাপত্তা ঝুকি কাদের দ্বারা বেশী তা ও জনগনের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আ’লীগ ধারণা করেছিলো গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসুচী কেবল একদিনের জন্য হবে। কিন্ত বিএনপি-জামায়াত আগে থেকেই তাদের কৌশল ঠিক করে রেখেছিলো যে প্রথম দিন সরকার বাধা দিবেই। আর এ অভিযাত্রা কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।