সাহিদুর রহমান সুহেল: বাফুফে নির্বাচন হয়েগেলো, “সালাউদ্দিন হটাও,ফুটবল বাঁচাও”আর বাঁচানো গেলোনা !সালাউদ্দিন নির্বাচিত হওয়ায় গত বারো বছরে পায়ের ফুটবল খেলা পরিবর্তে হ্যান্ডবলের খেলা চলমান রইলো ।১৩৯ কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৩৫জন হোটেল সোনারগায়ে রাত্রি যাপন করে পকেট ভারী করে ভোট প্রদান করেন,যার মধ্যে সভাপতি প্রার্থী হিসাবে সালাউদ্দিন ৯৪,বাদল রায় ৪০ এবং মানিক ১টি ভোট পেয়েছেন ।মানিক ইচ্ছে করলে সোনারগায়ে ঘুমাতে পারতেন,পকেট ভারী করতে পারতেন,সরে দাঁড়ানোর রাজনৈতিক চাপ মুক্ত থাকতে পারতেন,কিন্তু তিনি সারাদেশের মানুষের সাথে দেশের ফুটবলের স্বার্থে সালাউদ্দিন হটাও আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে কোটি মানুষের প্রতিবাদকে আরো জোরালো করতে নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন।ভোট পেয়েছেন ১টি,এটি হয়তো তার নিজের ভোট । ঐ একটি ভোট মানিকের লজ্জার কিঁছু নেই,১৩৯ বানিজ্যিক বাজারে নিজের ভোট নিলামে তুলেননি,দেশ ও জাতির জন্য বুক উচিয়ে লড়াই করে কোটি ফুটবল প্রেমীর ভালোবাসা জয় করেছেন ।একটি ভোট সালাউদ্দিনকে জানিয়ে দিলো যে,চলো ফুটবল প্রেমীদের ভোটে নির্বাচন করি ? জনপ্রিয়তার মাপকাটি যাচাই করি ।
ধন্যবাদ ১৩৫ ভোটারকে,
জাতির জনকের উক্তিকে পরিপূর্ণ রূপদান করার জন্য,”সবাই পায় স্বর্ণের খনি, বাংলাদেশ পায় চোরের খনি”!
তবুও জাতির জনকের দেশপ্রেম আর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার হাস্যউজ্জ্বল মুখ দেখে ভরসা পাই “এবার ভালোটা দেখার অপেক্ষায়। কত অশুভ সাম্রাজ্যের ই তো পতন হইছে,প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপে”।
বলতে বাধা নেই ঐ একটা মানুষ এইদেশের ফুটবলটাকে শেষ করে দিলো।অথচ তিনি একসময় বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার ছিলেন ।একজন ব্যর্থ সভাপতি
অসংখ্যক জীবন-স্বপ্ন প্রতিভা ধবংস করেছেন । লজ্জা জাতির জন্য, লজ্জা ফুটবলের মাঠে…লজ্জা ফুটবল ফেডারশনের নির্বাচন প্রক্রিয়ার..! আজ অবাক পুরো জাতি “পুরো দেশের জনগণ যাকে বাফুফের দায়িত্বে দেখতে চায়না,সে কি করে নির্বাচিত হয়”?
সততার জাদুঘরে,অসাধুদের জয় জয়…যে খেলা খেলেছো হে! ১৩৫ কাউন্সিলর,তোমরা তাে শেষ হবি এক নির্মম খেলার দ্বারা…তোমরা যারা অসাধুদের সমর্থক…তারা মনে রেখ,সূর্য ডুবলে আধাঁর হয় ঠিকই কিন্তু এর পরই সূর্য উঠে আপন গর্জনে..!
বুকে অনেক অভিমান নিয়ে
পরবাসে বসে বলছি,দেশটা যখন উনাদের তাদের ইচ্ছামত চলুক আপনারা-আমরা বলে কি হবে ? জনগণ যেন দাবার গুটি মাত্র…দিন শেষে তারাই জিতবে,আমাদেরকে গুটির চাল দেওয়ার জন্য রাখা ।
সাহিদুর রহমান সুহেল
চীফ রিপোর্টার,বাংলা মেইল ।
এবং হেড অব নিউজ লন্ডন বাংলা মিডল্যানডস ।