ভারত-চীন সীমান্তবর্তী লাদাখের উভয় দেশের সেনারা পিছু হটছে বলে খবর রটলেও বাস্তবে ফের সেই এলাকায় যেন যুদ্ধের দামামা বাজছে। সর্বশেষ লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত গোটা নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে ওই সীমান্তে। চীনারা লাদাখ সীমান্তে দূরপাল্লার কামান ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে।
জানা গেছে, এসব ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরানোর দাবি করেছে ভারত। তবে চীন তা না সরিয়ে আরো বাড়াচ্ছে। কেবল লাদাখেই ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এছাড়া অন্যান্য সীমান্তেও চীনা সেনা মোতায়েন বাড়ছে। এদিকে ভারত উত্তরাখণ্ডের জোহর উপত্যকায় কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুন্সিয়ারি-বুগডিয়ার-মিলাম সড়ক তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য হেলিকপ্টারে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে। ওই সড়কের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা সেনার পোস্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে।
এর আগে ২০১৯ সালে বেশ কয়েক বার ওই সড়ক তৈরির জন্য ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানোর চেষ্টা করেছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাথর কাটার যন্ত্রের অভাবে ওই পথ তৈরির কাজ বন্ধ ছিল। তবে সীমান্তের এ যুদ্ধাবস্থা কাটাতে উভয় দেশ কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনা চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুই দেশের সেনার ডিভিশনাল কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। বাস্তবে যদিও উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।